কক্সবাংলা ডটকম(১০ অক্টোবর) :: ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল ২০০৪ সালে ৷ সেই ২১ আগস্ট হামলার রায়দান হবে বুধবার ৷ আর রায়ের আগেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের বাকযুদ্ধ চরমে উঠতে শুরু করল৷ এদিকে রায়দানের পর যাতে কোনওরকম বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি না হয় তার জন্য ঢাকার নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷
বহু প্রতীক্ষিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় প্রভাব ফেলবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ৷ কারণ এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বিএনপির বর্তমান কর্ণধার তারেক রহমান৷ তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়ার পুত্র৷
২০০৪ সালে বেগম জিয়ার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনার ডাকা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের জনসভায় পরপর গ্রেনেড হামলা হয়৷ তাতে মৃত্যু হয় অন্তত ২৪ জনের৷ অল্পের জন্য বেঁচে যান হাসিনা৷ সেই ঘটনায় তারেক রহমান জড়িত বলে চার্জশিটে বলা হয়েছে৷
এদিকে বিএনপির দাবি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় দলের কেউ জড়িত নয়৷ রাজনৈতিক উদ্দেশে তারেক রহমান সহ অন্য নেতাকর্মীদের জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে তারেক রহমানসহ অন্য নেতাকর্মীদের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়ানো হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। সবাই জানে এর মাস্টার মাইন্ড হচ্ছে তারেক রহমান। এখন সত্যকে আড়াল করে লাভ নেই। তিনি বলেছেন আমরা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি। তবে রায়ের পর বিএনপি যদি বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে তার জন্য সরকার নিরাপত্তার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করেছে৷ আদালত ঘিরে দেওয়া হবে ৬টি নিরাপত্তা বলয়ে৷ যে কোনও রকম নাশকতা রুখতে তৎপর প্রশাসন৷
Posted ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১০ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta