কক্সবাংলা ডটকম :: কাঠের পাটাতনের মধ্যে লুকানো ছিল বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন। ট্রাকে করে সেগুলিকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর কাছে পাঠানো হয়। এর পরেই শুরু হয় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন হামলা। কাঠের পাটাতনগুলিকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। টিইউ-৯৫, টিইউ-২২ যুদ্ধবিমান-সহ ৪০টি রুশ বিমান উড়িয়ে দেয় ইউক্রেন।
বলা হচ্ছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার উপর এটাই সবথেকে বড় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘স্পাইডার্স ওয়েব’। রাশিয়ার ইরকুটস্ক অঞ্চলের ড্রোন হামলা নিয়ে রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের এক সেনা কর্তা।
ইউক্রেনের ওই কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এই অভিযানটি ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এবং ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ-এর প্রধান ভ্যাসিল মালিউক দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। ইউক্রেনীয় ড্রোন বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসরের অনেকটাই বাইরে ছিল এই এলাকাটি।
স্বাভাবিকভাবেই, বিমান ঘাঁটির কাছে গিয়ে হামলা না চালানো হলে এই ক্ষয়ক্ষতি করা সম্ভব হতো না। কী ভাবে ট্রাকের মধ্যে কাঠের পাটাতনের ভিতরে সেট করা হয়, কী ভাবে সেগুলিকে পরিচালনা করা হয়, তার বেশ কিছু প্রমাণস্বরূপ ভিডিয়ো রয়টার্সের হাতে তুলে দিয়েছেন ইউক্রেনের ওই কর্তা।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেন পাঁচটি অঞ্চলের সামরিক বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।সেগুলি হলো মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান এবং আমুর।
তবে মুরমানস্ক এবং ইরকুটস্ক অঞ্চল ছাড়া বাকি সব অঞ্চলে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে ড্রোনগুলিকে প্রতিহত করেছে। হামলায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম তাস জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে এমন একটি ট্রাকের চালককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এক্ষেত্রে রাশিয়ান ট্রাক ড্রাইভারকেই এই হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে
ইউক্রেনের এই হামলার পর পাল্টা আক্রমণ করে রাশিয়াও। ইউক্রেনের সেনার বিবৃতি অনুসারে, স্থানীয় সময়রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ একটি সেনা শিবিরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি সেনা কর্মী।
Posted ১:১৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta