কক্সবাংলা ডটকম(১৭ এপ্রিল) :: এক যুগ ধরে আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে দায়িত্ব পালন করছেন শাহ এ সারওয়ার। ৪১ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ব্যাংকে কাজ করেছেন তিনি। দেশব্যাপী আইএফআইসির বিস্তৃতি, কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সম্প্রতি এ শীর্ষ নির্বাহী কথা সাক্ষাৎকারে বলেছেন……..
আপনারা বলছেন, আইএফআইসি এখন দেশের বৃহত্তম ব্যাংক। সেটি কীভাবে?
আমরা শাখা-উপশাখার মাধ্যমে সারা দেশে নিজেদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছি। সারা দেশে এখন আইএফআইসি ব্যাংকের ১ হাজার ২৫৩টি শাখা-উপশাখা রয়েছে। আমাদের নিয়োগ দেয়া যোগ্য ও দক্ষ কর্মীরাই এসব শাখা-উপশাখা পরিচালনা করছেন। এটিএম বুথের ক্ষেত্রেও আমরা উন্মুক্ত। আমাদের এটিএম বুথ ১৩ হাজার। আইএফআইসি ব্যাংকের কার্ড দিয়ে যেকোনো বুথ থেকে বিনা মাশুলে টাকা তোলা যায়। দেশের অন্য কোনো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের এত বিস্তৃত নেটওয়ার্ক নেই। এসব বিচারেই আমরা বলছি, আইএফআইসি এখন দেশের বৃহত্তম ব্যাংক। আইএফআইসি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে যায়নি। এ কারণে সারা দেশে আমাদের কোনো এজেন্ট নেই।
এত পরিমাণ শাখা–উপশাখা বাড়ানোর কারণ কী?
আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সরাসরি ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসা। আপনি বলতে পারেন, সবকিছু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় এত শাখা-উপশাখা বাড়াচ্ছেন কেন? এটি সত্য যে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে সেবার পরিধি ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। কিন্তু এটিও দেখতে হবে, মানুষের ইন্টারফেসে ব্যাংকিংয়ের চাহিদা উন্নত দেশগুলোতেও কমেনি। সারা পৃথিবীতেই হিউম্যান ইন্টারফেসে ব্যাংকিংয়ের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের মতো দেশে এ চাহিদা আরো অনেক বেশি। এখনো মানুষ ব্যাংকে এসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সেবা নিতে আগ্রহী।
এক্ষেত্রে আমরা দুই ধরনের ব্যাংকিংয়েই বিশ্বাসী। ব্যাংকিং সেবাকে উত্কৃষ্ট প্রযুক্তির সমন্বয়ে ডিজিটাল করতে হবে। আবার সেবাদানের সঙ্গে মানুষের সংস্পর্শও থাকতে হবে। দেশের টেলকো কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম শতভাগ ডিজিটাল। তার পরও দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব কোম্পানির ছোট ছোট অফিস রয়েছে। গ্রাহকের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতেই এসব অফিস খোলা হয়েছে। ব্যাংকিং সেবাকেও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে নিয়ে যেতে হবে। এজন্যই আমরা সেবাকে ডিজিটাল করার পাশাপাশি শাখা-উপশাখার সম্প্রসারণ করছি।
বাংলাদেশে ৪৫০-এর বেশি উপজেলা আছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় তিন-চারটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র আছে। এ কেন্দ্রগুলোকে একসময় আমরা গঞ্জের বাজার বলতাম। গঞ্জের বাজারগুলোয় যদি সরাসরি ব্যাংকের শাখা নিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমরা এগিয়ে রইলাম। মানুষের সংস্পর্শে পৌঁছার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।
তার মানে আইএফআইসিকে গণমানুষের ব্যাংকে রূপান্তর করতে চাচ্ছেন?
হ্যাঁ, আমরা আইএফআইসিকে গণমানুষের ব্যাংকে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছি। যেকোনো দেশে একটি সফল আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হলে সে দেশের মূলধারার অর্থনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়। অস্ট্রেলিয়ায় বড় ব্যাংকগুলোর কৃষিতে বিপুল পরিমাণ অর্থায়ন আছে। ওই দেশের কৃষি ফার্মগুলোর আয়তন হয়তো ১৩০ বর্গমাইল। তাদের কৃষক হেলিকপ্টারে করে ঘোরেন। আমাদের কৃষি ও কৃষকের পরিস্থিতি অস্ট্রেলিয়ার মতো নয়। কিন্তু কৃষিকাজের ধরন প্রায় একই। আমাদের একজনের কাছে হয়তো ১ হাজার কোটি টাকা নেই। কিন্তু আমাদের ১ হাজার মানুষের প্রায় প্রত্যেকের কাছেই কিছু না কিছু অর্থ আছে। আমরা যদি গ্রামের মানুষের ৫-১০ হাজার টাকার সঞ্চয় একত্র করি, তাহলে একটি বড় অংকের অর্থ দাঁড়াবে।প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আসা আমানতের অর্থে আমরা তাদেরই স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
এ প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত সফলতা কতটুকু এসেছে?
এখন পর্যন্ত আমরা সত্যিকার অর্থেই সফল হয়েছি। দেশে ব্যাংকের নেটওয়ার্ক বাড়ানোয় তিন ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমটি হলো, পরিচালন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বা চুরিচামারি ঠেকানো। দ্বিতীয়ত, ঋণের ঝুঁকি কমানো। ছোট ঋণ দিতে গেলে ব্যাংকে খেলাপি ঋণের প্রবণতা বাড়ে। তৃতীয়টি হলো, কস্ট অব ডেলিভারি বা পরিচালন ব্যয় সামর্থ্যের মধ্যে রাখা। আমরা এ তিনটি চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে পুরো সিস্টেমটি সাজিয়েছি। যাতে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বল্প ব্যয়ে গ্রাহকের কাছে ব্যাংকের সেবা পৌঁছাতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা পুরোপুরি সফল। কভিডকালে এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছি। এ পরিবর্তনের ফলাফল খুবই চমৎকার।
২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহক ছিল ১০ লাখ। গত তিন মাসে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার বেড়েছে। তার মানে এক প্রান্তিকেই ব্যাংকে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। কৃষি, সিএমএসএমইসহ বিভিন্ন খাতে ঋণ বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। ব্যাংকের নেটওয়ার্ক প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্তৃত করায় আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সরাসরি এসব ঋণ পৌঁছাতে পারছি।
গণমানুষের ব্যাংক হতে হলে গণমুখী চরিত্রের প্রডাক্ট প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে আপনাদের কী প্রডাক্ট আছে?
গণমানুষের জন্য আইএফআইসি ব্যাংক ‘সুবর্ণ গ্রাম’ ও ‘সহজ ঋণ’ নামে দুটি প্রডাক্ট চালু করেছে। দুটি ঋণেরই ধরন প্রায় কাছাকাছি। তবে ‘সুবর্ণ গ্রাম’ ঋণটি অপেক্ষাকৃত বড়। আর ‘সহজ ঋণ’টি একেবারেই ছোট। এ ঋণের আকার ৫-১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা। পাঁচটি মুরগি কিংবা দুটি ছাগল পালনের জন্য এ ঋণ দেয়া হচ্ছে। আবার গ্রামের ছোট মুদি দোকানদার, সীমিত পরিসরে ট্রেডিং করে এমন উদ্যোক্তারাও আইএফআইসি থেকে ঋণ পাচ্ছেন। ইংরেজরা এ দেশে আসার আগে আমাদের স্থানীয় অর্থনীতি স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। স্থানীয় উৎপাদন দিয়েই স্থানীয় চাহিদা মেটানো হতো। আমরা ‘সুবর্ণ গ্রাম’ প্রডাক্টটি চালুর ক্ষেত্রে অতীতের সেই চিত্রটি মাথায় রেখেছি। কেউ পোলট্রি ফার্মের জন্য, কেউ মাছ চাষের জন্য আবার কেউ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য এ ঋণ পাচ্ছেন। আমরা কোনো উদ্যোক্তাকে ৫-১০ কোটি টাকা ঋণ দিতে চাই না। আবার যে মাছ চাষ করবে, তাকে হাঁসের জন্য ঋণ দেয়া হবে না। আমরা উদ্যোক্তাদের ৫-১০ লাখ টাকা ঋণ দিতে চাই। আইএফআইসি চায়, দেশের গ্রামগুলো উৎপাদন ও ভোগে সয়ংস্বম্পূর্ণ হোক।
ব্যতিক্রমধর্মী এসব প্রডাক্টের জন্যই কি আপনারা বলছেন, আইএফআইসি অন্য ব্যাংকগুলো থেকে ভিন্ন?
অবশ্যই। কিছু পরিসংখ্যান দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। উচ্চমূল্যের ফসল চাষে ঋণ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এর মধ্যেই আমরা লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করে ফেলেছি। কৃষির জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল রয়েছে। এ তহবিল থেকে ঋণ দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে, সেটি পেরিয়ে আমরা ৭৬০ শতাংশ অর্জন করেছি। সিএমএসএমই ঋণের ২৫ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ রয়েছে, সেটির ক্ষেত্রেও আমরা লক্ষ্যমাত্রার ২৩০ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এটি দেশের ব্যাংকিংয়ের জন্য বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। এ স্কিম চালু না হওয়ার কারণে আমরা সাধারণ মানুষকে ছোট ঋণ দিতে পারতাম না।
গ্রামের উপশাখাগুলো পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগ দিচ্ছেন কীভাবে?
ব্যাংকে যারা চাকরি করেন, তাদের মধ্যে এক ধরনের গ্রামবিচ্ছিন্নতা থাকে। শহরে থাকার আকাঙ্ক্ষার কারণে ব্যাংক কর্মীরা গ্রামে যেতে চান না। এ কারণে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমরা গ্রামে থাকবেন এমন মানসিকতার কর্মীদের প্রাধান্য দিচ্ছি। গ্রামে চাকরি করার জন্য অনেক ছেলেমেয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা বলছেন। চাকরিপ্রার্থীর বাড়ির পাশেই হয়তো আমাদের একটি উপশাখা রয়েছে। বাড়িতে থেকেই ব্যাংকে চাকরি করার সুযোগ পাচ্ছেন। আমরা চাচ্ছি, ‘সুবর্ণ গ্রাম’ ও ‘সহজ ঋণ’ দেয়ার মাধ্যমে আমাদের কর্মীরা ঋণ দেয়া শিখবেন। ১০টি ঋণ দিলে একটি ভুল হতে পারে। সেটির স্বাধীনতাও আমরা কর্মীদের দিচ্ছি। তবে দুর্নীতি কিংবা চুরির মানসিকতার ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ কঠোর।
মাত্র দুজন কর্মী দিয়ে আপনারা ব্যাংকের উপশাখা চালাচ্ছেন। এটি কীভাবে সম্ভব হচ্ছে?
বৈদেশিক বাণিজ্য না করলে একজন গ্রাহক সাধারণত ২৩টি সেবা নেয়ার জন্য ব্যাংকের শাখায় যান। ব্যাংকের হিসাব খোলা, এফডিআর করা, রেমিট্যান্স আনা, স্টেটমেন্ট তোলা, ঋণ নেয়া এসব কাজের জন্যই বেশির ভাগ গ্রাহক ব্যাংকে আসেন। আমরা ব্যাংকের প্রত্যেক কর্মীকে এ ২৩ ধরনের সেবা দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ক্যাশ-ননক্যাশ ক্যাডার অনেক আগেই আমরা তুলে দিয়েছি। আমাদের সফটওয়্যারগুলোও সেভাবে সাজানো হয়েছে। এতে প্রত্যেক কর্মীর মধ্যেই সব ধরনের কাজের দক্ষতা তৈরি হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালে সারা দেশে কর্মীদের বেতন কমেছে, চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়েছে। কিন্তু আইএফআইসি ব্যাংক এ সময়ে তিন হাজার কর্মকর্তা নতুন করে নিয়োগ দিয়েছে। আমরা প্রত্যেক কর্মীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলেছি। কর্মীদের যোগ্যতা ও শক্তির জায়গাটি চিহ্নিত করে দিয়েছি, যাতে প্রতিষ্ঠান তার কাছ থেকে সেরাটি গ্রহণ করতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের কারণে আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিটি সেবাই সেন্ট্রালাইজড। ব্যাংকের কর্মীরা শাখা-উপশাখায় বসে গ্রাহকদের সেটি ডেলিভারি দিচ্ছেন।
২০১২ সাল থেকে আপনি আইএফআইসি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময়ে ব্যাংকটির রূপান্তরে আপনার অবদান জানতে চাই।
আইএফআইসির আজকের অবস্থান আমার হাত ধরেই হয়েছে। এজন্য আমাদের ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীরা প্রচুর শ্রম ও সময় দিয়েছেন। সদ্য পড়ালেখা শেষ করা তরুণদের আমরা ব্যাংকে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে যথেষ্ট পরিমাণ শ্রম দিতে হয়েছে। আমাদের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী বছরে গড়ে ছয়টি ট্রেনিং পান। আইএফআইসি ব্যাংকের সারা দেশের সব শাখা-উপশাখা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। প্রধান কার্যালয়ের একটি দেয়ালজুড়ে থাকা মনিটরে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে আইএফআইসি ব্যাংকের রূপান্তরে পরিচালনা পর্ষদ বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। আপনারা জানেন, আমাদের পর্ষদে তিনজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা আছেন। তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তা ও চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান সাহেবের দিকনির্দেশনা ও কঠিন সময়ে প্রত্যক্ষ হ্যান্ড হোল্ডিংয়ের মাধ্যমে আমরা এ লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি। আমি ১৭ বছর ধরে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী। আইএফআইসির আগে অন্য একাধিক ব্যাংকেরও সিইও ছিলাম। কিন্তু সে ব্যাংকগুলোয় ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারিনি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আইএফআইসি অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে এ ব্যাংক নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমার প্রধান লক্ষ্য অনেক মানুষের কাছে আইএফআইসি ব্যাংকের ঋণ সুবিধা পৌঁছানো। একজনের কাছে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা দেয়ার চেয়ে ৫০ জনকে যদি ১ কোটি টাকা ঋণ দিতে পারি, সেটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংক ও অর্থনীতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। বাংলাদেশে ঋণদাতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হলো সবচেয়ে বেশি অসহায়। টাকা ফেরত আনা এ দেশে অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। এজন্য আমরা যদি ছোটদের ঋণ দিতে পারি, তাহলে একসঙ্গে ৫০০ কোটি টাকা হারানোর ঝুঁকি থাকবে না। বাংলাদেশে আমরা সবচেয়ে বড় গৃহঋণদাতা প্রতিষ্ঠান। আমাদের ৩৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ পোর্টফোলিওর ২২ শতাংশই গৃহঋণ। আমরা গৃহঋণ সেবার বিস্তৃতি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। আইএফআইসিকে দেশের প্রতি চারটি পরিবারের একটির অর্থনৈতিক অংশীদার করতে চাই।
Posted ৪:১৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Chy