কক্সবাংলা ডটকম(৪ জানুয়ারী) :: আরব লীগের ২২টি সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে দুই দিনের বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। ৩১ জানুয়ারি ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পশ্চিম এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রথমবারের মতো এই আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত।
সিরিয়ার ব্যাপারে এর মধ্যে আরব লীগের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসলে দেশটির প্রতিনিধিও বৈঠকে অংশ নিতে পারে বলে অবগত সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদির সরকার আরব দেশগুলোর সাথে বিনিময় বৃদ্ধির যে ধারা শুরু করেছেন, সেটিকে অব্যাহত রাখতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। যদিও আলাদাভাবে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে ভারত।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকের এজেন্ডাগুলোর মধ্যে থাকবে পশ্চিম এশিয়ায় সঙ্ঘাত, ফিলিস্তিন ইস্যু, সন্ত্রাস দমন, প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব, ভারতের জ্বালানি স্বার্থ এবং তাদের প্রবাসীদের কল্যাণের বিষয়গুলো।
২০১১ সালে আরব লীগ থেকে সিরিয়ার সদস্যপদ খারিজ হয়। কিন্তু লীগের পর্যবেক্ষক ভারত সিরিয়ায় তাদের দূতাবাসের কার্যক্রম চালু রেখেছে এবং সেখানে সন্ত্রাসদমন সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিদান হিসেবে অর্গানাইজেশান অব ইসলামিক কোঅপারেশানে (ওআইসি) কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতের অবস্থানের বিরুদ্ধে যায়নি। আরব লীগের আরও কয়েকটি দেশ যারা ওআইসির সদস্য, তারাও কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতের বিরোধিতা করছে না।
২০১৫ সাল থেকে ভারত আরব বিশ্বের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিভিন্ন আরব দেশ সফর করেছেন এবং আরব দেশগুলোর নেতাদের ভারতে স্বাগত জানিয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্যতম হলো ২০১৭ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্সকে স্বাগত জানানো।
তৎকালিন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির পর প্রধানমন্ত্রী মোদিও ফিলিস্তিন সফর করেন। ভারতীয় কোন প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম ফিলিস্তিন সফর।
ভারত ইসরাইল ও আরব বিশ্বের সাথে সম্পর্ককে সমান তালে বজায় রেখেছে। মোদি প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসরাইল সফরে গিয়েছেন এবং তার সফরের ছয় মাসের মধ্যে ভারত সফরে আসেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
তবে একই সাথে ভারত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, বাহরাইন এবং জর্ডানের সাথে সম্পর্ককেও এগিয়ে নিয়েছে। মোদির সাথে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সাম্প্রতিক বৈঠকের পর সৌদি আরব ভারতে বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
একইভাবে কাতারের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত এবং দ্বিপাক্ষিক জ্বালানি সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয়দের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা দিয়েছে দোহা।
Posted ৮:৩৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Chy