কক্সবাংলা ডটকম(৫ আগস্ট) :: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) যেন শাঁখের করাত হয়ে উঠেছে। আসতে কাটবে, যেতেও কাটবে। এতে মানুষের কাজ সহজ হয়েছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু দানবের মতো ক্রমশই নিজের ডালপালা বিস্তার করছে এআই। মানুষের চাকরি পর্যন্ত খেয়ে নিচ্ছে। অনেকেই তাই এখন সাবধানী। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যতই বুদ্ধিমান হোক না কেন, কয়েকটা ক্ষেত্রে কিন্তু থাবা বসানোর ক্ষমতা তার নেই।
বিশেষ করে যেখানে সৃজনশীলতা, মানসিক বুদ্ধিমত্তা, সমালোচনামূলক চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন হয়। এই সব ক্ষেত্রের চাকরিতে তাই এআই-এর মাথা তোলার সুযোগ নেই বললেই চলে। দেখে নেওয়া যাক সেই সব চাকরির বিষয়ে।
সৃজনশীল সংক্রান্ত চাকরি:
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজন্স গান লিখতে পারে। প্রবন্ধ, নিবন্ধ রচনা করতে পারে। এমনকী শিল্পেও ব্যুৎপত্তি রয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে সৃষ্টির ক্ষমতা তার নেই। এআই রিমিক্স করতে পারে কিন্তু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, আবেগ দিয়ে মানুষের মন ছুঁতে পারবে না। তাই লেখালিখি, সঙ্গীত, সিনেমার মতো ক্ষেত্রগুলি এআই-র কাছ থেকে অনেকটাই নিরাপদ।
জটিল সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো কাজ:
যে চাকরিগুলিতে জটিল সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যেমন – একজিকিউটিভ, অন্ত্রেপ্রনর, স্ট্র্যাটেজিস্ট ইত্যাদি, সেগুলি আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স দিয়ে প্রতিস্থাপন করা কঠিন। এই ধরনের কাজে বিষয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান, গভীর উপলব্ধি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং অনিশ্চয়তা মোকাবিলা করার ক্ষমতার প্রয়োজন হয়। আর এই সব বিষয়ে এআই এখনও অনেকটাই পিছিয়ে।
ইমোশনাল ইনটিলিজেন্স:
আর্টিফিশিয়াল ইনটিলেজেন্স মানুষের আবেগের অনুকরণ করতে পারে। কিন্তু সেই আবেগকে ছুঁতে পারে না। সহানুভূতি বোঝার ক্ষমতা তার নেই। থেরাপিস্ট, সমাজকর্মী, নার্সের মতো চাকরিতে উচ্চ মানসিক বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয়। এই ধরনের চাকরি এআই কোনও দিন করতে পারবে না।
স্পেশালাইজড প্রফেশন:
চিকিৎসক, আইনজীবী, বিজ্ঞানীদের মতো পেশায় বিশেষ দক্ষতা এবং অগাধ পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন হয়। এই চাকরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে প্রতিস্থাপন করা মুশকিল। যদিও এই ক্ষেত্রগুলিতে এআই সহায়তা করতে পারে। কিন্তু জ্ঞানের যে গভীরতা এবং সূক্ষ্ম বোধ প্রয়োজন, তা এআই-এর পক্ষে আত্মস্থ করা কঠিন।
শিক্ষকতা:
শিক্ষাদান শুধুমাত্র তথ্যের আদানপ্রদান নয়। শিক্ষার্থীকে অনুপ্রাণিতও করতে হয়। একপ্রকার নিজেকে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরাটা জরুরি। শিক্ষার্থীদেরও বোঝা দরকার। এর জন্য বুদ্ধিমত্তা তো বটেই, মানবিক এবং ব্যক্তিগত মনও দরকার। যা এআই-এর নেই। ফলে শিক্ষকতার পেশায় এআই কোনও দিনই আসতে পারবে না।
Posted ১১:১৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৫ আগস্ট ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Chy