মাঈনুদ্দিস খালেদ,নাইক্ষ্যংছড়ি(১৫ আগস্ট) :: বৃহস্পতিবার কোরবানীর পশুর শেষের দু’হাটের এক দিন। অতি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার হচ্ছে তাদের। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ২ সংগঠন এখন রামুর গর্জনিয়া বাজার,নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা ও বাইশারী বাজার সহ কয়েকটি পশুর হাটে।
তারা বরাবরই চড়া দামে পশু ক্রয় করায় স্থানীয়রা বিপাকে পড়ে আসছে দীর্ঘ দিন। এবারও এ আশংকায় স্থানীয়দের অনেকে তাদের সামনে ঠাঁই না পেয়ে কোরবান পর্যন্ত করতে পারবে না অভিযোগ অনেকের।
রামুর গর্জনিয়া বাজার কেন্দ্রিক স্থানীয় ক্রেতা নুরুল হাকিম,আবুল হোসেন,জয়নাল আবেদীন ও শামশুল আলম সহ অনেকে এ প্রতিবেদককে আরো জানান, বেশ ক’বছর ধরে গোপনে গর্জনিয়া বাজার থেকে পশু কিনে আসছে নিষিদ্ধ এই সংগঠন গুলো।
এদের একটি আরকান ভিত্তিক সীমান্তে তৎপর জঙ্গি সংগঠন আরএসও( আরকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গনাইজেশন) এবং সরকার নিষিদ্ধ তুর্কি এনজিও। প্রথমোক্ত সংগঠনের আস্তানা সীমান্তের জিরোলাইন বা মোবাইলিং ভাবে সক্রিয় । যারা সারা বছর মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই,সৌদিয়া,তুরস্ক,ওমান,কাতার ও আরো কয়েকটি রাষ্ট্রের অথার্য়নে চলে।
বিশেষ করে সেখানকার মিয়ানমারের আরকান ভিত্তিক সংগঠন গুলোর কাড়িকাড়ি অর্থ পাচার হয়ে আসছে এদের কাছে। যে অর্থ সীমান্তে থাকা জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িতদের মাঝে বিতরণ করে নিয়মিত। আর মূখ বন্ধ রাখার জন্যে তারা এলাকা ভিত্তিক কিছু মসজিদ,মাদ্রাসা ও ওজুখানা তৈরী করে দেয় অতি নি¤œমানের মালামাল ব্যবহারে। আর কোরবানের সময় তৎপর হয় পশু কিনে বিতরেণ করে।
যা বাংলাদেশী সোসাইটির লোকজনকে প্রকাশ্যেবাদ দিয়ে প্রাক্তন বর্মি লোকজনের মাঝে এ সব পশু বিতরণের করে। বিশেষ করে কোরবানীর পশুর হাটের দিন গুলোতে তারা প্রতিবছর পাহাড়ি বাজার গুলোতে থেকে প্রায় এক হাজারাধিক পশু কিনে গোপনে বিতরণে করে। অনেক সময় প্রকাশ্যেও করে।
গর্জনিয়া বাজার থেকে ক্রয় করে ৩ থেকে ৪ শত কোরবানীর পশু চড়া দামে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভয়ে স্থানীয় কিছু ক্ষমতাধর এবং প্রভাবশালীর সহায়তায় এ পশুগুলো কিনে স্থানীয় এ দু সংগঠনের প্রতিনিধি চিহ্নিত প্রাক্তন বর্মি আবদুর রহিম গং। সে এলাকায় নিষিদ্ধ আরএসও’র সোর্স হিসেবে বহুল পরিচিত।
তারা স্থানীয় চিহ্নিত এক প্রাক্তন মেম্বারের সহায়তায় এ সব করে যাচ্ছে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও। আজ গর্জনিয়া বাজারে কোরবানীর পশুর বাজার বসবে। এতে এ ২ সংগঠনের অন্তত: ডজনাধিক কর্মি মাঠে নামবে কৌশলে। যেন প্রশাসন সহ সব দিক ঠিকঠাক থাকে।
এ বিষয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়িঁ ইনচার্জ মো: আলমগীর জানান, বিষয়টি তিনি এইমাত্র শুনেছেন। নিষিদ্ধ বা আইনীভাবে বাঁধা রয়েছে এমন অপতৎপরতা চালাতে দেয়া হবে না এখানে। তিনি এখানে পর্যবেক্ষনে থাকবেন।
Posted ১:২৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy