মোঃ রেজাউল করিম,ঈদগাঁও(১৭ আগস্ট) :: ক·বাজার সদরের উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন ঈদগাঁও মেহের ঘোনা বিটের রিজার্ভ জমিতে ঘর উঠানোকে কেন্দ্র করে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক মারা গেছে। নিহত যুবকের নাম মোস্তাক আহমদ (৩৫)।
সে ঈদগাঁও ইউনিয়নের চান্দেরঘোনা গ্রামের মৃত মোঃ হোসেনের পুত্র।
১৭ আগস্ট শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ খানের নেতৃত্বে ওই ইউনিয়নের চান্দেরঘোনা গ্রামের অছিইন্না মোরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঘটনার দিন বনবিভাগের জমির উল্লেখিত স্থানে একটি ঘর উঠানোকে কেন্দ্র করে বনবিভাগের লোকজনের সাথে নিহত মোস্তাকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঘটনা সামাল দিতে গিয়ে বনবিভাগের লোকজন মোস্তাককে গুলি করে।
স্থানীয়রা খবর পেয়ে গুলিবিদ্ধ মোস্তাককে দ্রুত উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রামু উপজেলাধীন জোয়ারিয়ানালা নামক স্থানে তার মৃত্যু হয়। নিহত মোস্তাক মাস খানেক আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। তিনি সৌদি আরবস্থ মক্কা মহানগর ¯ে^চ্চাসেবকলীগের সিনিয়র সদস্য বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, তিনি ২ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানের জনক এবং স্ত্রী ইয়াছমিন বর্তমানে অন্তঃসত্বা। সংগঠিত ঘটনায় বনভিাগের ৫ জন আহত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুন মিয়া জানান, ঘটনাস্থলে মোস্তাকসহ আরো কিছু লোক জড়ো হয়ে বনবিভাগের জায়গায় বেআইনিভাবে ঘর উঠাচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ খানের নেতৃত্বে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং ঘর উঠাতে বাধা দেয়।
এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং দখলকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকালে তারা বনবিভাগের লোকজনের উপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে বনভিাগের লোকজন গুলি ছুঁড়লে মোস্তাকের গায়ে গুলি লাগে এবং মারা যান।
সংবাদ পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ওসি (তদন্ত) মিনহাজ মাহমুদ ভূঁইয়ায় নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং এসআই শাহাজ উদ্দিন সুরতহাল তৈরী শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে সদর মডেল থানার এএসপি সার্কেল আতিকুল ইসলাম এবং অফিসার্স ইনচার্জ খন্দকার ফরিদ উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।
অফিসার্স ইনচার্জ জানান, সংঘটিত ঘটনায় কোন পক্ষ থেকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতির উপর পুলিশ নজর রাখছে এবং ঘটনা পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে তিনি জানান।
নিহতের পরিবার জানায়, এ ঘটনায় বনবিভাগ উল্টো এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করে নিরীহ এলাকাবাসীকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
নিহত মোস্তাকের স্ত্রী ইয়াছমিন সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তার নিরপরাধ ¯^ামী হত্যার বিচার দাবী করেছেন। এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত নিহতের লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পড়ে ছিল।
Posted ১১:১৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy