মোঃ রেজাউল করিম,ঈদগাঁও(১ আগস্ট) :: কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বিপুল চামড়া মজুদ হলেও বেচাকেনা নেই মোটেই। ফলে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পানির দরে বিক্রি করতে হয়েেছ তাদের সংগৃহীত চামড়া। বাজারের দক্ষিণ পাশের তেলিপাড়া রোডের মাথায় এবং আশপাশ এলাকায় আজ সারাদিন চামড়া মজুদ করা হয়।
অন্যান্যবারের নিয়ে মতো এবারো এ স্থানে চামড়া বেচা কেনর জন্য ক্রেতা-বিক্রেতারা ভিড় করছেন। আজ রাত গভীর পর্যন্ত এ স্থানে চামড়া বেচাকেনা চলবে বলে জানা গেছে।
সরেজমিন এলাকা পরিদর্শনে দেখা যায়, বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রোডের পূরব- পশ্চিম পার্শব এবং তেলিপাড়া রোডে নানা সাইজের প্রায় চার সহস্রাধিক কুরবানীর পশুর চামড়া স্তুপ করা হয়েেছ। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বৃহত্তর ঈদগাঁওর প্রত্যন্ত এলাকায় এলাকায় গিয়ে চামড়া কিনে এনে এখানে স্তুপ করেছেন কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করার জন্য। আবার নানা ধর্মীয় এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও লাভের আশায় কমদামে গ্রাম এলাকা থেকে চামড়া ক্রয় করে এখানে বিক্রির জন্য এনেছেন।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, বেচাকেনা খুবই কম। বিভিন্ন স্থানে ক্রেতার অভাবে চামড়া নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কুরবানীদাতাদের কেউ কেউ চামড়া ফেলেও দিচ্ছেন। তিনি আরো জানান, মহিষের চামড়া সরবোচ্চ ৬০০ টাকা এবং গরুর চামড়া সরবোচ্চ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু ও মহিষের চামড়া সরবনিু ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য বারের ন্যায় এবারো স্থানীয় ৫/৬ জন কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী মৌসুমী বিক্রেতা ও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে চামড়া ক্রয় করছেন। এসব ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েেছন সাবের আহমদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, একরামুল হক, সালা উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, আজিজুল হক প্রমুখ।
উপস্থিত চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, তারা এখান থেকে চামড়া কিনি প্রক্রিয়াকরণ শেষে ঢাকা ও চট্টগ্রামের আড়়তদারদের নিকট বিক্রি করবেন।
তারা জানান, ট্যানারি মালিকরা আড়তদারদের কাছ থেকে উপযুক্ত মূল্যে চামড়া ক্রয় করতে অনীহা প্রকাশ করায় আড়তদাররা ও তাদের কাছ থেকে চামড়া কিনতে চাচ্ছেন না। কোনমতে বিক্রি করতে পারলেও নানা অজুহাতে চামড়ার মূল্য পরিশোধ করতে তারা গড়মিসি করেন। সে কারণেই স্থানীয় ভাবে তারা চামড়া সংগ্রহ করতে দ্বিধা বোধ করছেন।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী নুরুল হক জানান, গত কোরবানির পশুুর চামড়া বাবদ তারা আড়তদারদের কাছে বিপুল অংকর টাকা পাওনা রয়েেছন।
ট্যানারি মালিকরা জানান, চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসায় বিরাট মন্দা যাচ্ছে। দেশের প্রত্যন্তত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার চামড়া আসার সম্ভাবনা থাকলেও বহিরবিশ্বে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা আশানুরূপ দামে চামড়া ক্রয়়ে অনিচ্ছুক। ঢাকার সিরাজগঞ্জ থেকে বিশ-পঁচিশ জন চামড়া শ্রমিক চামড়ায় লবন দেয়া,পরিষ্কার করা এবং গুদামজাত করার কাজ করছেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, চট্টগ্রামের আতুরার ডিপু আড়তে এবং ঢাকার লালবাগের পেস্তার আড়ত সমূহে কোনো না কোনো সময় চলে যাবে এখান থেকে সংগৃহীত চামড়া সমূহ। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী নুরুল হুদা জামাল শাহ আলম নুরুল আলম পুতূ সহ বেশ কয়কেজন গ্রামাঞ্চল থেকে চামড়া সংগ্রহ করে এখানে এনেছেন। কর্মরত চামড়া শ্রমিক দেলোয়ার শাহাবুদ্দিন হাকিম সহ অনেকে চামড়া প্রক্রিয়াকরণের কাজ চালাচ্ছেন। বিভিন্ন যানবাহনে করে এসব চামড়া ব্যবসায়ীদের গুদামে চলে যাচ্ছে।
Posted ১১:৩৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০১ আগস্ট ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy