এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও(৭ নভেম্বর) :: কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজ সোনালী ধানে সবর্ত্রই সমারোহ। ধান ক্ষেতগুলো সবুজে ভরা দেখলে ধনে ধানে পুষ্পে ভরা,আমাদের এই বসুন্ধরা কথাটির স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায় ঔ আমন ধানের সোনালী শীষ দেখে।
যতদূর চোখ যায় ততদূর মাঠে মাঠে হাওয়ায় দোল খাচ্ছে অক্লান্ত পরিশ্রমী কৃষকের হাতের ছোঁয়ার ধান গাছ। কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক দিক থেকে কৃষকই বাংলাদেশকে অনেকটাই টিকিয়ে রেখেছে।
তারই লক্ষে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার ভাবনাটা সার্থক হতে চলেছে কৃষকের মাঠে সবুজে শ্যামলে ভরা ধান ক্ষেতে।
চলমান রয়েছে সরকারের কৃষি বান্ধব কর্মসূচী, সাথে কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, অনুকূল আবহাওয়া, সার, কীটনাশকসহ বাজারে কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ, সহনশীল দাম, সহজলভ্যতা ও সেচের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের সরবরাহসহ আবাদ উপযোগী পরিবেশ ইত্যাদি বিবেচনায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র মতে,চলতি মৌসুমে উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এসব জমিতে উৎপাদিত ধানের সোনালী শীষ এখন বাতাসে দোল খাচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে বলেও জানা গেছে।
আবার অনেকেই ধান কাটা শুরু করেছে। নতুন ধান উঠবে কৃষকের গোলায়। সোনালী ধান ঘরে তোলার স্বপ্নে চাষিরা এখন বিভোর। গৃহস্থ আর কৃষাণ-কৃষানিরা গোলা, বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
উৎপাদনেও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। অনেক কৃষকরা এবার আমন ধানের বীজতলা করেছে আধুনিক পদ্ধতিতে। আলোর ফাঁদ দিয়ে সনাক্ত করেছে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষেতের পোকামাকড়।
প্রান্তিক কৃষক সদরের পোকখালী,ঈদগাঁও এবং ইসলামাবাদের কজনের মতে,ধান ক্ষেতের দিকে তাড়ালে বুক জুড়িয়ে যায়। দেখলে মনে হয় সোনালী ধান যেনো স্বপ্নের হাঁসি ফুটে ওঠে কৃষক দের মুখে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত বছরের তুলনায় এবার অধিক ফলন হবে বলেও আশা করছেন তারা।
Posted ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy