মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া :: উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিক্ষা-নীরিক্ষা ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই ও মাংস বিক্রি চলছে।
এ কারনে বিভিন্ন রোগাক্রান্ত পশুর মাংস খেয়ে অসুস্থ্য হচ্ছেন স্থানীয় নাগরিক।
মাংস বিক্রেতারা জানেনা পরীক্ষা নীরিক্ষার পর পশু জবাই করতে হয়।
এব্যাপারে এখানে কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় ছাগলের বদলে ভেড়া ও ষাঁড়ের বদলে গাভী এবং গরুর বদলে মহিষের মাংস ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছেন মাংস ক্রেতারা।
জানা গেছে, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের বটতলী এলাকায় একটি কসাইখানা আছে। সেখান থেকে দুর্গন্ধে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীসহ সাধারণ পথচারিদের নাকে রোমাল দিয়ে চলাচল করতে হয়।
এছাড়া কোথাও কোনো কসাইখানা নেই। ফলে পুরো উপজেলা ব্যাপী রাস্তার পাশে কসাইরা যত্রতত্র পশু জবাই করে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ বিষয়ে ভ্যাটেরিনারী সার্জন এবং স্যানিটারী ইন্সপেক্টরেরে খাম খেয়ালিপনায় খাবার অযোগ্য রোগাক্রান্ত পশু ডাক্তারী পরীক্ষা ও কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই নোংরা পরিবেশে জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
উখিয়া সদরে দারোগা বাজার মাছ বাজারের পাশে রয়েছে মাংসের দোকান। মাছ বিক্রেতা রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, মাছ বাজারের পাশে মাংস বিক্রি হয়। তাছাড়া কোটবাজার, মরিচ্যা সোনারপাড়া বাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে কুতুপালং, বালুখালী এবং পালংখালী বাজারে নোংরা পরিবেশে মাংস বিক্রির ফলে মশা, মাছি, পোকা-মাকড় ও কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে।
মাংসের উপর মাছি রোগ ছড়াচ্ছে যার মাধ্যমে মানুষের শরীরে রোগ বালাই সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে হাঁপানি, জন্ডিস, যক্ষা, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা রোগে আক্রন্ত হচ্ছেন। স্থানীয়রা উখিয়ার বাজারগুলোতে পরীক্ষা-নীরিক্ষা না করেই পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। মাংস বিক্রেতা চান মিয়া জানান, মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে গবাদি পশু পরীক্ষা-নীরিক্ষার ব্যাপারে তাদের কিছু জানা নেই।
এদিকে বাচ্চা গরু, চাষাবাদ যোগ্য বলদও দুধের গাভী জবাই করা নিষিদ্ধ থাকলেও প্রায় ভোরে লোকচক্ষুর আড়ালে কসাইরা এসব পশু জবাই ও মাংস বিক্রি করছে।
উখিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের হাটবাজারসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে প্রতিদিনই পশু জবাই করা হচ্ছে। গবাদি পশু জবাই বিধিনিষেধ ও মাংস নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ-১৯৫৭, এ পশু জবাইখানায় আধুনিক পরীক্ষাগার, জবাইয়ের পূর্বে পশুর ডাক্তারী পরীক্ষা ও জবাইয়ের পরে মাংস পরীক্ষা করে মাংসে সরকারি সীল মেরে বাজারে মাংস বিক্রির নিয়ম থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না।
উখিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: তাজ উদ্দিন বলেন, যারা মাংস বিক্রি করে তাদেরকেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন থেকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সনদপত্র সয়গ্রহ, গবাদি পশু জবাই সনদপত্র থাকা জরুরী।
তিনি বলেন, ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কে আইনের প্রতি সম্মান রেখে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসা উচিত। প্রতিটি বাজারে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনার কথা ব্যাক্ত করেন।
Posted ১২:১১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Chy