কক্সবাংলা ডটকম(২ আগস্ট) :: বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা এফএ কাপের ফাইনাল হেয়ে গেল শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময়) লন্ডনের ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। যেখানে শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় মধ্য লন্ডনের চেলসি ও উত্তর লন্ডনের আর্সেনাল। ফাইনালে অবামেয়াংয়ের ২৮ ও ৬৭ মিনিটের জোড়া গোলে চেলসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১৪তম শিরোপা জয় করল আর্সেনাল।
এর আগে সেমিফাইনালে দুই গোল করে ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করেছেন। আর ফাইনালেও দুই গোল করে পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং আর্সেনালকে জেতালেন এফএ কাপের শিরোপা। ২০১৭ সালে চেলসিকে হারিয়েই সর্বোচ্চ ১৩তম বারের মতো এফএ কাপ জিতেছিল আর্সেনাল। তিন বছর পর সামনে সেই চেলসি, এবার ২-১ গোলে জিতে সংখ্যাটিকে ১৪ করে ফেললো গানাররা। এফএ কাপের ট্রফিটিকে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন চাইলে গানারদের লাল জার্সির রংয়ে রাঙিয়ে দিতে পারে। এফএ কাপের ইতিহাসই যেন হয়ে উঠতে চাইছে আর্সেনালময়।
তা না হলে মাত্রই ছয় মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচের দুর্দান্ত গোলে প্রথম এগিয়ে যাওয়া চেলসির বিপক্ষে এভাবে কেন ঘুরে দাঁড়াবে তারা? এই গোলটি জর্জিনিয়ো, ম্যাসন মাউন্ট, অলিভিয়ের জিরুর সমন্বয় থেকে পুলিসিচের দারুণ ফিনিশিংয়ের ফল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ভরা প্রথমার্ধে ২৪-২৫ মিনিট পর্যন্ত মনে হয়েছিল আজ চেলসিরই দিন। কিন্তু পা ‘কুলিং-ব্রেকের’ পর সেই যে ঘুরে দাঁড়ালো আর্সেনাল, আর পেরে উঠলো না নীল দল। এর মধ্যে অবশ্য ভাগ্যও তাদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে। চোট ম্যাচ থেকে কেড়ে নিয়েছে সিজার অ্যাপিলিকুয়েতা, পুলিসিচ ও বদলি পেদ্রোকে। ৪৬ মিনিটে পুলিসিচই গোলে আরেকটি শট নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান। মাঠই ছাড়তে হয় তাকে। ৭৩ মিনিটে মাতেও কোভাচিচ মাঠ ছেড়ে গেছেন বিতর্কিতভাবে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে।
কিন্তু দুর্ভাগ্য দিয়েই তো শুধু একটি পরাজয়কে ঢাকা যায় না। আর্সেনালের মধ্যে জয়ের আকাঙ্ক্ষাটা যেন বেশিই ছিল। ২৮ মিনিটে অবামেয়াংয়ের পেনাল্টি গোলে ঘুরে দাঁড়ানোতেই সেটি বোঝা যায়। চেলসি অধিনায়ক অ্যাজপিলিকুয়েতা প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে ফাউল করেন বক্সে। অবামেয়াং পেনাল্টি নষ্ট খুব একটা করেন না, এটাও করেননি। আর ৬৭ মিনিটে অবামেয়াং করেছেন জয়সূচক গোল। নিকোলাস পেপের পাসে বল পেয়ে ক্রিস্টিয়ানসেনকে ইনসাইড-আউট টার্নে পরাস্ত করেছেন, তারপর গোলকিপার কাবায়েরোর মাথার ওপর দিয়ে চিপ করেছেন জালে। যেকোনও গোলকিপার এরকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ গোল বিশ্বমানের স্ট্রাইকারের কাছ থেকেই দেখে থাকে। মৌসুমে ২৯ গোল হয়ে গেল গ্যাবনিজ স্ট্রাইকারের।
এটি মনে হয় তার ক্যারিয়ারের অতি গুরুত্বপূর্ণ গোল। ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিকের’ এই গোল আর্সেনালকে নিয়ে গেল ইউরোপা লিগে, এটিই তাকে হয়তো নতুন চুক্তিতে বেঁধে রাখলো আর্সেনালে।
অবামেয়াংয়ের সঙ্গে মিকেল আর্তেতার ভাগ্যও যেন একইসঙ্গে বাঁধা পড়লো নিয়তির কোনও নতুন ইশারায়। মাত্রই ডিসেম্বরে আর্সেনালের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক গানার, করোনায় ভুগে এসে দলকে অনেকটাই টেনে তুলে আটে রেখেছেন লিগে। এফএ কাপেই দেখিয়ে দিলেন তার মধ্যে ভালো কোচ হওয়ার উপকরণ মজুত আছে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই।
Posted ৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০২ আগস্ট ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy