কক্সবাংলা ডটকম(২৪ জানুয়ারি) :: বছর শুরু থেকে দেশজুড়ে দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন। বারবার মিউটেড হয়ে অতি শক্তিশালী হয়ে ওঠা এই স্ট্রেন আরও বেশি সংক্রামক বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু যদি ভেবে থাকেন, এই প্রজাতির সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে গেলেই মিলবে সাফল্য, তাহলে কিন্তু ভুল করবেন।
কারণ এটিই শেষ স্ট্রেন নয়, পিকচার অভি ভি বাকি হ্যায়! অন্তত এমনটাই জানিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
হু-এর কোভিড-১৯-এর টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ভ্যান জানান, “এই ভাইরাসটি এখনও নিজের ভোল বদলাচ্ছে। আমাদেরও সেই মতো করে বদলাতে হবে।” তাহলে লড়াইয়ের উপায় কী? বিশেষজ্ঞের মতে, টিকাকরণই এর মূল হাতিয়ার। বিশ্বজুড়ে আরও বেশি করে ভ্য়াকসিনেশনের উপর জোর দিতে হবে।
একই সঙ্গে তিনি নিশ্চিত করে দেন, “করোনার বর্তমান ঢেউয়ের সঙ্গেই কিন্তু এই ভ্যারিয়েন্ট শেষ হয়ে যাবে না। কারণ দুর্ভাগ্যবশত ওমিক্রনই (Omicron) কোভিড-১৯-এর শেষ প্রজাতি নয়।”
গোটা দুনিয়ায় নতুন করে বাড়বাড়ন্ত করোনার। যে কারণে বারবার টিকাকরণের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের তরফে এও বলা হয়েছিল, চলতি বছরই হয়তো এই অতিমারীর শেষের শুরু হয়ে যাবে, যদি প্রতিটি দেশ একইরকম ভাবে টিকাকরণ অভিযানে জোর দেয়। কারণ এই মারণ ভাইরাসকে শেষ করতে প্রত্যেক দেশকে সমানভাবে প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে।
মারিয়া ভ্যান জানাচ্ছেন, ১০০০ কোটি করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেলেও এখনও ৩০০ কোটি মানুষ প্রথম ডোজই পাননি। কোনও কোনও দেশ টিকাকরণে (Corona Vaccine) এগিয়ে থাকলেও বেশ কিছু দেশ অনেকটাই পিছিয়ে। আর সেই জন্যই ভাইরাস নির্মূল হওয়ার প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
সাধারণ মানুষের চলতি ধারণা ভেঙে দিতে মারিয়া ভ্যান আরও জানিয়ে দেন, ওমিক্রণে যে গুরুতর শারীরিক সমস্যা হচ্ছে না, এমনটা নয়। হয়তো এই স্ট্রেন ডেল্টার (Delta) চেয়ে কম প্রভাব ফেলে। কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতির ঘটনাও সামনে এসেছে। তাই এই সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টকে হালকাভাবে নেওয়া একেবারেই উচিত হবে না।
Posted ১:১৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Chy