হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ :: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ উপকূলের গভীর সাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৫ মণ ওজনের দ্রুত গতির সোর্ড ফিস।
মাছটি দেখতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকেরাও ভিড় করেন।
ট্রলার থেকে ৭-৮ জন জেলে মিলে মাছটি কাঁধে নিয়ে জেটি ঘাটের ফিশারিতে আনার সময়ে মিছিলে রূপ নেয়।
মাছটির দাম হাঁখিয়েছেন ৪৫ হাজার টাকা।
শুক্রবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলার শাহ পরীর দ্বীপ জেটিঘাটে সোর্ড মাছটি আনা হয়।
ট্রলার মাঝি জিয়াবুল হক বলেন, দুইদিন আগে এফবি রফিক নামের একটি ট্রলার নিয়ে ১৫ জেলেসহ গভীর সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পরে বৃহস্পতিবার সেন্টমার্টিন সংলগ্ন মৌলভীরশীল এলাকা নামক সাগরে জাল ফেলার পর বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সঙ্গে এই সোর্ড মাছটি ধরা পড়ে।
ট্রলার মালিক মোহাম্মদ রফিক বলেন, শুক্রবার দুপুরে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটের ফিশারিতে বিক্রির জন্য মাছটি নিয়ে আসে জেলেরা।
এই এলাকায় পাখি মাছের চাহিদা তেমন না থাকায় বিক্রি করা হলো মাত্র ১৫ হাজার টাকায়। এসময় বিশাল মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমান মানুষজন।
মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় ট্রলারে তুলতে তাদের বেগ পেতে হয়েছে। তবে এ মাছের চাহিদা না থাকায় দাম কম পেয়েছেন। এ কারণে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
মাছ ব্যবসায়ি ছৈয়দ আলম বলেন, আমার জীবনে এত বড় সোর্ড মাছ দেখিনি।
আমাদের এদিকে এই মাছ তেমন পাওয়া যায় না। গভীর সাগরে মাছটির দেখা মেলে।
টেকনাফ এলাকায় এসব মাছের তেমন চাহিদা না থাকায় খুব কম দামে বিক্রি হয়েছে।
ট্রলার মালিক ৪৫ হাজার টাকা দাম হাঁকেন, পরে মাছ ব্যবসায়ী সুলতান আহমদ ১৫ হাজার টাকায় কিনে নেন।
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই মাছটি ‘সোর্ড ফিস’ হিসেবে পরিচিত। এর ওজন পাঁচ মণের বেশিও হয়ে থাকে ।
গভীর সাগরে চলাচল করায় এ মাছ তেমন একটা ধরা পড়ে না। এ মাছগুলো অনেক দ্রুত গতির। ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে দৌড়ায়। তবে এ মাছটি খেতে খুব সুস্বাদু।
টেকনাফ এলাকায় এই মাছের তেমন চাহিদা না থাকায়, মাছটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে হয়েছে জেনেছি।
