মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সন্ত্রাসীদের পিটুনিতে নিহত হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো.সোহেল রানা (২৮)।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের ৪নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরীস্থ হাজিপাাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার সাথে ঝড়িত অভিযোগে আবদুল মান্নান নামের একজন আটক করেছে।

এদিকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় উত্তোজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ এ ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

নিহত মো.সোহেল রানা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের পালাকাটা হাসেম মাষ্টার পাড়ার আবদুর রকিমের ছেলে এবং চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক ছিলেন তিনি।

পরিবারিক সুত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৪ নভেম্বর সোহেলের সাথে বিয়ে হয় পেকুয়ার কৃষকলীগ নেতা মেহের আলীর মেয়ে কলির। বিয়ের একমাস পার না হতেই সন্ত্রাসী হামলায় স্বামী সোহেলকে হারাল নববিবাহিতা কলি এখন দিশেহারা।

এদিকে, ঘটনার পরপরই হামলায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার নাম আবদুল মান্নান (৩৪)। সে হাজিপাড়ার কবির আহমদের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, হামলার পর ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা সোহেলকে দ্রæত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত সোহেলের বাবা আবদুর রকিম জানান, ভরামুহুরী হাজি পাড়ায় তাদের ক্রয়কৃত একটি জমি রয়েছে। সেই জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় একদল সন্ত্রাসী। এই খবর পেয়ে আমার ছেলেসহ আরো কয়েকজন সেখানে ছুটে যায়।

সেখান থেকে ফেরার পথে হাজি পাড়ার নুরুল আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সোহেলকে পেছন থেকে হাতুড়ি, গাছের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকে সোহেলর নিথর দেহ। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.আশরাফ হোসেন জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনায় আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান তিনি।