বিশেষ প্রতিকেদক(২ ফেব্রুয়ারি) :: কক্সবাজারের টেকনাফে দ্বিতীয় দফায় আরও অন্তত ৩০ জন ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন। টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে সোমবার বিকেলে এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হবে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান ঘিরে মঞ্চসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষ হয়েছে।
জেলা পুলিশ আয়োজিত ৩ ফেব্রুয়ারির এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। সভায় সভাপতিত্ব করবেন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন টেকনাফের আলোচিত ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ী মো. ইসমাইল। ইতিমধ্যে তিনি পুলিশের হেফাজতে চলে গেছেন। আত্মসমর্পণ করছেন টেকনাফ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আমিন। সঙ্গে আছেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভিপাড়ার দুই সহোদর মো. রিদুয়ান ও আবদুর রাজ্জাক।অবশ্য এ কয়জন ছাড়া আত্মসমর্পণের তালিকায় নেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ৩৩ ইয়াবা গডফাদারের কেউ। আর দ্বিতীয় দফায় তালিকাভূক্ত হওয়া ৩০ জনের বাইরে আরও কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী হাজির হতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করেন, চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা না গেলে মাদক চোরাচালান নির্মূল করা কঠিন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, তালিকায় আরও অন্তত ২০ জনের নাম আছে, যাঁরা ইয়াবা ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছেন। সোমবার নির্ধারিত ৩০ জনের বাইরেও কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করতে পারেন।
প্রসঙ্গত,২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে সাড়ে তিন লাখ ইয়াবা ও ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তালিকাভুক্ত শীর্ষ ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী। এর মধ্যে মোহাম্মদ রাসেল নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে কারাগারে। বাকি ১০১ জন কক্সবাজার কারাগারে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
Posted ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy