কক্সবাংলা রিপোর্ট(১ মে) :: মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যের মংডু,বলিবাজার এবং ঢেকুবনিয়া এলাকা পরিদর্শন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের ৩০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দল।
১লা মে মঙ্গলবার দুটি হেলিকাপ্টার যোগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা ওই তিনিটি অঞ্চলে পৃথকভাবে পরিদর্শন করে।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং তুমব্রু নো-ম্যানস ল্যান্ড পরিদর্শন করে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
সূত্র জানায়,রাখাইনে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সফরে রোহিঙ্গা অধ্যূষিত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে নেয়া হয়নি। তবে সকাল ১১টার দিকে বালুখালীর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীান্তে বালুখালীর ঘুমধুম মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করানো হয়। এছাড়া প্রতিনিধি দলকে রাখাইনের মগ অধ্যূষিত কয়েকটি গ্রাম ঘুরিয়ে দেখানো হয় এবং রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরী করা আশ্রয়কেন্দ্রও পরিদর্শন করানো হয়।
এরপর পরিদর্শন শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুটি হেলিকাপ্টার প্রতিনিধি দলটি রাখাইন রাজ্য ত্যাগ করে।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুয়েত থেকে বিমানযোগে সরাসরি বাংলাদেশের কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌঁছান ৩০ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল। কক্সবাজারের ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপে পৌঁছানোর পর হোটেলটির সম্মেলন কক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী ও রোহিঙ্গা শরনার্থী প্রত্যাবসন কমিশনারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
এরপর শনিবার(২৯ এপ্রিল) সকালে তুমব্রু নো-ম্যানস ল্যান্ড এবং দুপুরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন তারা। ৩০ এপ্রিল (সোমবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তারা মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাত লাখের মতো মানুষ।বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে অপরাধের আলামত।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ আখ্যা দিয়েছে। রাখাইনের সহিংসতাকে জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। তবে এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
Posted ১:১৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০১ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy