বার্তা পরিবেশক(৬ জানুয়ারি) :: কক্সবাজার শহরের কাছাকাছি পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা মডেল হাইস্কুলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় পুড়েগেছে স্কুলের দুইটি কক্ষ ও টেবিল-চেয়ার বেঞ্চসহ গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত আনুমানিক ৩টায়। মধ্যরাতে স্থানীয়রা আগুনের লেলিহান দেখতে পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়ার ঘটনাকে প্রতিহিংসা বলে দাবী করছেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক জাকের হোছাইন।
তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগে থেকে পাশ্ববর্তী স্কুল পিএমখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও তার ভাই হুমকি দিয়ে আসছেন। কারণ গত বছরে ১০০ গজের ভেতরে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় জেলা শিক্ষা অফিসার ওই প্রতিষ্ঠানকে বই দেননি। এ নিয়ে শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে একটি বৈঠকও হয়েছিল।
জাকের হোছাইন আরও জানান, ওই বৈঠকে শিক্ষা অফিসার জানিয়ে দিয়েছিলেন ১০০ গজের ভেতরে যেহতু মডেল হাইস্কুলের যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক ও বিপুল পরিমাণ ছাত্র-ছাত্রী, স্কুলের জমি এবং আনুসাঙ্গিক মিলিয়ে পরিপূর্ণ আছে সেক্ষেত্রে আরেকটি স্কুলকে বই দেয়া যাবে না।
মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জাকের হোছাইন বলেন, পিএমখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত বছর বই না পেয়ে পুরাতন বই সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের বিলিয়ে দিয়েছিল। বই না পাওয়ায় আমাদের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে একের পর এক হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আনোয়ার পারভেজ ও তার ভাই শাহাজাহান জাকের।
পিএমখালীর ছনখোলা নামক গ্রামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। এই অল্প দিনেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ট রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে চুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে প্রতিবারের মতো এবারও প্রথম স্থান অর্জন করে। এই পযন্ত মোট চারবার প্রথম স্থান অর্জন করে এলাকার সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্থানীয় অধিবাসী ও সংশ্লিষ্টদের মতে, ছনখোলা মডেল হাই স্কুল হচ্ছে ছনখোলা তথা গোটা পিএমখালীর একটি স্বপ্নময় স্কুল। এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পর জনগণের অনেক আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটেছে।
ছনখোলা মডেল হাই স্কুলের শিক্ষক মোহাম্মদ সাদ্দাম মনে করেন, জেলাব্যাপী সুনাম খুড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছে আরেকটি স্কুল। এই কারণেই ছনখোলা মডেল হাইস্কুলে রাতে আধাঁরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তারা।
তিনি জানান, আগুনে পুড়িয়ে অন্তত এক লাখ টাকার বেশি ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় অগ্নিসংযোগ হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেলিম উদ্দিন ও কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব।
তিনি ঘটানাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
Posted ১:৫০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Chy