আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ :: অপেক্ষার পালা শেষ। শুক্রবার ২৩ অক্টোবর থেকে কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার কক্সবাজার পৌরসভাসহ জেলার আটটি উপজেলায় পূজামন্ডপ হচ্ছে ২৯৯টি। এবার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই পালিত হবে দুর্গাপূজা ।
আগামী ২৬ অক্টোবর সমুদ্রসৈকতের লাবনী পয়েন্টে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্টানও হবে সীমিত আকারে। সমুদ্রসৈকতে লোকসমাগম কমিয়ে আনার পাশাপাশি দর্শণার্থীদের মুখে মাস্ক পরে সৈকতে নামা বাধ্যতামুলক করা হচ্ছে।জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সুত্রমতে, এবার জেলার ২৯৯ টি পূজামন্ডপ প্রস্তুত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মন্ডপে প্রতিমা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। পূজামন্ডপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চকরিয়া উপজেলায় ৮৮টি, কক্সবাজার সদরে ৭৪টি, এরমধ্যে কক্সবাজার পৌরসভায় ২০টি। রামুতে ৩০টি, মহেশখালীতে ৩১টি, কুতুবদিয়ায় ৪২টি, উখিয়ায় ১৪টি, পেকুয়ায় ১৩টি, টেকনাফে ৬টি এবং উখিয়ার পশ্চিম কুতুপালং হিন্দু শরণার্থী শিবিরে একটি। গত ৩ বছর ধরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু শরণার্থীরা সেখানে দুর্গাপূজা পালন করে আসছেন।
এবারের দুর্গাপুজা কী ভাবে পালিত হবে-তার ধারণা তুলে ধরতে গত মঙ্গলবার বিকালে শহরের লালদিঘির পাড়ের ব্রাক্ষ্ম মন্দিরে সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করে জেলা পুজা উদযাপন পরিষদ।জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই এবারের দুর্গাপূজা উদযাপন হবে। রাত ৯টার আগে মন্ডপে পূজার কাজ শেষ হবে।
তাছাড়া মন্ডপে প্রবেশের সময় ভক্ত ও দর্শণার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপুর্ণ মন্ডপগুলোতে সিসিটিভি স্থাপন ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত রাখা হবে। দর্শনার্থীদের আগমন সীমিত এবং জীবানুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন সৈকতের বিজয়ামঞ্চে আগে যে মুক্ত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান হতো-এবার তাও সীমিত করা হয়েছে।
হিন্দু নেতারা বলছেন, পাঁচদিন ব্যাপী শারদীয় দুর্জাপূজা শুরু হচ্ছে শুক্রবার ২৩ অক্টোবর থেকে। আগে দুর্গাপূজাকে ঘিরে হাটবাজারে কেনাকাটায় বড় ধরনের চাপ লক্ষ্য করা গেলেও করোনা মহামারির কারণে তাতে ভাটা পড়েছে। দোকানে বেচাবিক্রি তেমনটা নাই বললে চলে।
আগে জেলার বিভিন্ন মন্ডপ থেকে বিসর্জনের জন্য প্রতিমাগুলো সৈকতের লাবনী পয়েন্টে জড়ো করা হত। প্রতিমা নিয়ে প্রধান সড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে চলতো ট্রাক বহরের আকর্ষণীয় শোভাযাত্রা। এসময় ভক্তদের নাচ-গান, আনন্দ উল্লাস নজর কাড়ত মানুষের। করোনা মহামারির কারণে এবার তাও হচ্ছেনা। এতে হতাশ অনেক ভক্ত।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎযাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৬ অক্টোবর বিকালে সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে সক্রিয় থাকবে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
Posted ৭:৫৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy