কক্সবাংলা রিপোর্ট(২২ অক্টোবর) :: মিয়ানমারে যে বর্বরতা হয়েছে, তার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করার কাজ শুরু হয়েছে। যারা গণহত্যাসহ নানা নির্যাতন করেছে তাদের যেমন চাইবো তেমনি কোন গোষ্টি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে তাদেরও বিচার চাওয়া হবে। শুধু তাই নয় মিয়ানমারের সহিংসতার ঘটনার কারনে বাংলাদেশের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, হচ্ছে তার জন্য আন্তর্জাতিক আইনে মামলা করে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে হবে।
২২ অক্টোবর ও ২৩ অক্টোবর কক্সবাজারের উখিয়ায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ভুক্তভোগিও প্রত্যক্ষদর্শী উত্ত্বাস্তু রোহিঙ্গা জবানবন্দি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বার্মায় গণহত্যা ও সন্ত্রাস তদন্তে নাগরিক কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুল হুদা।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কোন নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে কিনা তার জন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, আমরা কোন লবিং বা পেসার নিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া নির্যাতিত রোহিঙ্গার বিষয়ে কাজ করছিনা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মিয়ানমারের ঘটনার অনেক তথ্য আমরা পেয়েছি। এসব তথ্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে দেয়া হবে।
এসব তথ্যে ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার চেষ্টা করবো। ৫ টি প্রস্তাবনা আনা হবে। এর প্রেক্ষিতে ৫ টি বিষয় নিয়ে কাজ করবে নাগরিক কমিশন। পরবর্তিতে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে।
লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিচারপতি মো: নিজামুল হক, প্রাক্তন আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, মেজর জেনারেল (অব) মো: আবদুর রশিদ, মেজর জেনারেল (অব) একে মোহাম্মদ আলী শিকদার, মমতাজ লদিফ, বৃটিশ সমাজকর্মী জুলিয়ার্স ফ্রান্সিস।
Posted ৫:৩২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy