বিশেষ প্রতিবেদক :: কক্সবাজার সফররত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জেলায় সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। দিনভর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় পর্যটকের বিনোদনের উপযোগী আধুনিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এখানে। দেশি-বিদেশি পরযটকদের চাহিদার আলোকে কক্সবাজারে সাংস্কৃতিক অঙ্গন সাজানো হবে।
তিনি বুধবার (২৮ অক্টোবর) কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন ও বঙ্গবন্ধু জন্মবার্ষিকী আন্তর্জাতিক পরিষদ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশ থেকে জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। তাই সাধারণ মানুষের কাছে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা নিয়ে যেতে হবে। সংস্কৃতির মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয় তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের গতিশীলতা ভিন্ন আঙ্গিকে প্রসারিত করতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতিকে সমন্বয় করে পরযটকদের সামনে তুলে ধরতে হবে যাতে বিদেশি পর্যটকরা কক্সবাজারে ভ্রমণ করেই পুরো বাংলাদেশের সংস্কৃতির স্বাদ গ্রহণ করতে পারে। বিশেষত কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাপ্তাহিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সায়মুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড সিরাজুল মোস্তফা, কবি নুরুল হুদা, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং আই খেন প্রমুখ।
বিকেলে বিচের লাবনী পয়েন্টে মনোজ্ঞ ঘুড়ি উড়ানো উৎসব পালন করা হয়। প্রতিমন্ত্রী ঘুড়ি উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো সংবলিত রং-বেরংয়ের ঘুড়ি উড়ানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এর মধ্যে রাখাইন ও চাকমা নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীরা নিজস্ব সংস্কৃতির নৃত্য ও গান পরিবেশন করে।
Posted ২:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy