মঙ্গলবার ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের নতুন ট্রেন প্রবাল ও সৈকত এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি শুরু

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
43 ভিউ
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের নতুন ট্রেন প্রবাল ও সৈকত এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি শুরু

বিশেষ প্রতিবেদক :: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলাচল করবে দুই জোড়া নতুন ট্রেন। এর মধ্যে একটি ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’ অপরটি ‘সৈকত এক্সপ্রেস’।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুই ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হয়েছে ১৮৫ টাকা।

এসব তথ্য জানিয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন দুই জোড়া ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু করবে।

নিয়ম অনুযায়ী ১০ দিন আগে থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যদিও বুধবার (২২ জানুয়ারি) থেকে বিক্রি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা হয়নি।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর টিকিট বিক্রি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ট্রেন দুটির ১ ফেব্রুয়ারি এবং ২ ফেব্রুয়ারির টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

অনলাইন এবং রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।’

কক্সবাজার যেতে ভাড়া কত

চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ট্রেনে করে যেতে লাগবে সর্বনিম্ন ১৮৫ টাকা আর সর্বোচ্চ ৩৪০ টাকা। নতুন ট্রেনে ভাড়া তুলনামূলকভাবে অনেক সহনীয়, অনেক ক্ষেত্রে বাসের তুলনায় অর্ধেকের কম।

গত ২০ জানুয়ারি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে ট্রেন দুটি চলাচলের বিষয়টি জানিয়ে পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। প্রতিটি ট্রেনে ৭৪৩টি আসন থাকবে এবং ১৬টি কোচ নিয়ে চলাচল করবে।

বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘নতুন রেলপথ চালুর পর ঢাকা থেকে দুই জোড়া স্থায়ী ট্রেন চললেও চট্টগ্রাম থেকে চলাচল করা ট্রেনটি ছিল অস্থায়ী। স্থানীয়দের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন উভয়পথে চালানো হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে যাত্রী পরিবহন করবে দুটি ট্রেন। আজ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।’

গত ৯ জানুয়ারি ট্রেন দুটি পরিচালনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়া হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত অনুমোদনের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান জনবল দিয়ে এই রুটে নতুন দুই জোড়া ট্রেন চালাতে হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিসে নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২০ এর ২(২.০) ধারার আলোকে রেলওয়ের মার্কেটিং শাখাকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ক্যাটারিং সেবা দিতে অনুমতি দেওয়া হলো। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে দরপত্রের মাধ্যমে ক্যাটারিং সেবা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ ও ট্রেনগুলো দ্রুত চালু করতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।

সময়সূচি

অফিস আদেশ অনুযায়ী, সৈকত এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ৮২১) প্রতিদিন ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে এবং সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। আর প্রবাল এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ৮২২) কক্সবাজার থেকে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।

চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর প্রবাল এক্সপ্রেস আবার বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে এবং সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে। সৈকত এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা ৮টা ১৫ মিনিটে রওনা দিয়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে। তবে, সোমবার সাপ্তাহিক বন্ধের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।

যেসব স্টেশনে থামবে

সৈকত এক্সপ্রেস ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে।

অন্যদিকে প্রবাল এক্সপ্রেস থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।

রেলওয়ের দেওয়া তথ্যমতে, ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার নতুন রেলপথটি ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হয়। এরপর ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়। ইঞ্জিন, কোচ ও লোকবল সংকট দেখিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চালু হয়নি। পরে অবশ্য ক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য দুটি কোচ বরাদ্দ রাখা হয়। জানুয়ারিতে আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একটি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। ট্রেনটি জনপ্রিয় হলেও ওই বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে ঈদুল আজহার সময় ১২ জুন থেকে বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়, যা এখনও চলছে।

তবে এই রুট উদ্বোধনের পর থেকে চট্টগ্রাম থেকে স্থায়ী ট্রেন চালুর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। বিশেষ ট্রেনটি স্থায়ী করার পাশাপাশি আরেকটি নতুন ট্রেন চালুর প্রস্তাবনাসহ একটি চিঠি ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর রেলওয়ের মহাপরিচালককে দেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কক্সবাজার রুটের পর্যটকদের পাশাপাশি স্থায়ীদের মধ্যেও ট্রেনের চাহিদা রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে দৈনিক গড়ে ৪০ হাজার মানুষ কক্সবাজারে যাতায়াত করেন। এর মধ্যে ১০ হাজার মানুষও যদি ট্রেনে ওঠেন, তবে এটি হবে সবচেয়ে লাভজনক রুট। দুর্ঘটনাপ্রবণ মহাসড়ক এবং রেলের ভাড়া তুলনামূলক কম হওয়ায় এই রুটের ট্রেন জনপ্রিয়তা পায়।

রেলওয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বর কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর পর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ লাখ ৩৯ হাজার ২৯৩ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। এতে রেলের আয় হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাড়ে ৭২ কোটি টাকা আসে তিনটি ট্রেন থেকে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বিশেষ ট্রেনটিতে সাড়ে পাঁচ মাসের কম সময়ে এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৬২ জন যাত্রী চড়েছেন। রেলের আয় হয়েছে দুই কোটি ৪৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ টাকা।

43 ভিউ

Posted ৯:০০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : Shaheed sharanee road, cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com