কক্সবাংলা রিপোর্ট :: কক্সবাজারের ৭ উপজেলার মাঠ থেকে বোরো ধান সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো এবং গত মৌসুমের তুলনায় এই মৌসুমে বেশি দামে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি হয়েছে জেলার কৃষক।
কৃষকরা বলছেন, তেমন বড় কোনো ঝড় বৃষ্টি ও দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলনের গতবছরের তুলনায় এবার একর প্রতি ২-৫০ মণ করে ফলন বেশি হয়েছে। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল অতিরিক্ত উৎপাদন হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়,চলতি বোরো মৌসুমে ৫৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে লক্ষ্যমাত্রার কম ৫৪ হাজার ৫৭৭ হেক্টরে চাষ হয়েছে।
হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান মিলে জেলায় চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন। হেক্টর প্রতি ৩ মেট্রিক টন হিসেবে সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২ লাখ ২১ হাজার ১৫১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে।।
এর মধ্যে সর্বাধিক উৎপাদন হয়েছে চকরিয়া উপজেলায় ৭০ হাজার ৭১৪ মেট্রিক টন। দ্বিতীয় সর্বাধিক উৎপাদন হয়েছে পেকুয়া উপজেলায় ২৯ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন।এরপর মহেশখালী উপজেলায় ২৮ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন, সদর উপজেলায় ২৬ হাজার ৬০৫ মেট্রিক টন, রামু উপজেলায় ২৬ হাজার ২৯১ মেট্রিক টন,উখিয়া উপজেলায় ২৫ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন,টেকনাফ উপজেলায় ৭ হাজার ৭৮৪ মেট্রিক টন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ৬ হাজার ৪০৮ মেট্রিক টন।
কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী অফিসার আশীষ দে কক্সবাংলাকে বলেন,এবছর রোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন।সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২ লাখ ২১ হাজার ১৫১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে।তিনি বলেন, ‘জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল অন্য জেলায় সরবরাহ করা যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো: কবির হোসেন কক্সবাংলাকে জানিয়েছেন,সরকারি প্রণোদনার আওতায় জেলার কৃষকদের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এবার বোরো মৌসুমে হাইব্রিড ধানে ও উপশী জাতের ধানে প্রায় ৫ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ধান চাষে সকল কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভোর্তূকিমূল্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা দ্রুত সময়ে ফসল রোপণ ও কর্তন করতে পারচ্ছেন এবং খরচের দিক থেকেও তারা লাভবান হচ্ছে। যত বেশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বৃদ্ধি হবে ততো বেশি কৃষক লাভবান হবেন। তাই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অব্যাহত রেখেছে সরকার। তিনি আরও বলেন, এবার পার হেক্টর জমিতে প্রায় ৩ টন করে বোরো ধানের ফলন হয়েছে।
Posted ১:২৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Chy