কক্সবাংলা রিপোর্ট :: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরনার্থী শিবির থেকে পূর্বে দুই দফায় ভাসানচরে স্থানান্তরিত হওয়া ৩,৪১৪ জন রোহিঙ্গা চমৎকার মানিয়ে নিয়েছেন নতুন পরিবেশের সাথে
সরকার ২৮ জানুয়ারি বা ২৯ জানুয়ারী থেকে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় ব্যাচ কক্সবাজার থেকে চট্রগ্রাম হয়ে ভাসানচরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাস্তচ্যুত প্রায় ৩ হাজার রোহিঙ্গার একটি দলকে তৃতীয় ব্যাচ হিসেবে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এজন্য উখিয়া কলেজ সংলগ্ন মাঠে তাদের বুধবার থেকে জরো করা হবে।ইতিমধ্যে উখিয়া উপজেলার বালুখালী এলাকায় অবস্থিত ছয়টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ২০৪ পরিবারের ৮৫৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে বুধবার সন্ধ্যায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ভাসানচর নোয়াখালীতে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য বসবাসোপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর আগে গত ডিসেম্বরের ৪ এবং ২৯ তারিখে দুই ধাপে প্রায় ৩ হাজার ৪১৪ জন রোহিঙ্গাকে দ্বীপটিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানান্তরের সম্ভাব্য তারিখ এবং সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার ভিত্তিক শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে তিনি বলেন,‘‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কিছু কাজ ধীরে সুস্থে করাই ভালো।বিগত দুইটি ধাপের স্থানান্তর করণের কাজও অনাড়ম্বরভাবেই সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থানান্তরিত হওয়া রোহিঙ্গারা বেশ ভালো আছেন নতুন তাদের আবসস্থলে।
শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, তৃতীয় ব্যাচের স্থানান্তরের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। যেহেতু পরিবহণের বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব আমাদের উপর ন্যস্ত। তাই তারা ( দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ উদ্বাস্তু, ত্রাণ এবং পুনঃপ্রত্যাবর্তন বিষয়ক কমিশন অফিস) আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কখন স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করা যথোপযুক্ত হবে।আমরা তাদেরকে জানুয়ারির ২৭ এবং ২৮ এর মধ্যে একটি সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছি। প্রায় ৩ হাজার মানুষকে স্থানান্তরিত করা হবে এই ব্যাচে।
শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সূত্র আরও জানায়, “যারা এপর্যন্ত এখানে এসেছেন সবাই খুব ভালো আছেন। কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হয়নি। রোহিঙ্গারা আমাদের সাথে সহযোগীতাপূর্ণ আচরণ করছে।”
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ভাসানচরের উদ্দেশে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে রোহিঙ্গারা বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রা করবে। প্রথমে তাদের চট্টগ্রামে রাখা হবে। শুক্রবার সকালে তাদের নৌ বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম থেকে নৌ পথে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।’
গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১৬৪২ জন এবং দ্বিতীয় দফায় গত ২৯ ডিসেম্বর ১৮০৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
Posted ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Chy