কক্সবাংলা রিপোর্ট :: কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হওয়ার ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি ভাষানচরে ১,৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বার্তায় বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করা হলেও, ভাসানচরে স্থানান্তর করায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
একই বার্তায় রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার জন্য রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য মিয়ানমারকে আহ্বান জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করছে বলেও বার্তায় জানানো হয়।
প্রসঙ্গত গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে ‘চল চল ভাসানচর চল’ লেখা সংবলিত ব্যানার লাগিয়ে রোহিঙ্গা-বহরের ৩৮টি বাস চট্টগ্রামের দিকে যাত্রা করে।কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ওই চরটিতে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।প্রথম দিন স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে সাতটি জাহাজ।
৪ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বোট ক্লাব এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে স্থানীয় প্রশাসন তাদের এসব জাহাজে তুলে দেয়। এর আগে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের মালপত্রও জাহাজে তুলে দেওয়া হয়।
ভাসানচর মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এই ভাসানচরে তাদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সাময়িকভাবে বসবাসের জন্য নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচরে তৈরি করা হয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশে দৃষ্টিনন্দন আবাসন ব্যবস্থা। শহরের অধিকাংশ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সেখানে নিশ্চিত করা হয়েছে। ভাসানচরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা সরকারি খরচে রোহিঙ্গাদের জন্যে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
গত ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা নির্যাতন শুরু হলে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নেন। এর আগে নির্যাতনে শিকার হয়ে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে এসে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
Posted ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy