বিশেষ প্রতিবেদক(২৭ জুলাই) :: কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয় পেয়েছে রাজশাহী মাস্টার্স ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন খুলনা মাস্টার্স।
২৭ জুলাই মাস্টার্স ক্রিকেটের দ্বিতীয় আসরে জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স প্রথম ফিফটি হাঁকিয়ে ব্যাটে ভর করে তার দল ঢাকা মেট্রো মাস্টার্স ১২৫ রান করতে সক্ষম হয়। কিন্তু জবাব দিতে নেমে জাতীয় দল থেকে একই সময় বাদ পড়া হান্নান সরকার কম যাননি। তার দল একমি রাজশাহী মাস্টার্সকে সেমি ফাইনালে নিয়েছেন আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। ২০০৪ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই দুই ক্রিকেটারের দিন বেশ অন্যরকমই কেটেছে।
কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমির মাঠে হান্নান যখন ব্যাট করছিলেন তখন দলের অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট চিৎকার করে বলছিলেন তোমার এইচপিতে খেলা নিশ্চিত ফিফটি করলেই জাতীয় দলে সুযোগ পাবে। পাইলট মজা করলে হান্নানকে মনে হচ্ছিল তিনি খেলছেন জাতীয় দলের হয়েই। ম্যাচ শেষে তাই তার চোখে-মুখে ছিল অন্যরকম এক পরিতৃপ্তি।তিনি বলেন, ‘আনন্দের জন্য ক্রিকেট খেললেও মাঠে তো সিরিয়াস থাকতে হয়।’
অন্যদিকে দিনের আরেক ম্যাচে বসুন্ধরা ঢাকা বিভাগ মাস্টার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সেমির স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন টাইটান্স খুলনা মাস্টার্স।
টস জিতে রাজশাহীর বিপক্ষে ব্যাট করতে নামে ঢাকা মেট্রো। ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সের হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ১২৫ রান সংগ্রহ করে তারা। ৩০ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ডিকেন্স। এছাড়া আনিসুর রহমান ২৩ ও মনিরুজ্জামান ১৯ রান করেন।
১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা পায় রাজশাহী। ৭ ওভারেই দলটি বিনা উইকেটে ৮৯ রান সংগ্রহ করে। মাত্র ২৮ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হান্নান সরকার। ৩৪ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন জাভেদ ওমর বেলিম। এছাড়া রাশিদুজ্জামান করেন ১৯ রান। ফলে ১ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী।
দিনের আরেক ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ ছিল বসুন্ধরা ঢাকা বিভাগের। ৪৬ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন দুই ওপেনার। তবে এরপর আর কোনো বড় জুটি গড়তে পারেননি। যে কারণে নির্ধারিত ১৮ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৫ রান করে দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন হুমায়ূন কবির। জবাব দিতে নেমে ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার।
তবে শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক হাবিবুল বাশার, নিয়াজ মোর্শেদ পল্টু ও হাসানুজ্জামান ঝড়ুর ব্যাটে ১ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেষ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। জাতীয় দলে ওয়ান ডাউনে খেলা সেরা ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশার ওপেন করতে নেমে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। এছাড়া পল্টু ২৮ ও হাসানুজ্জামান ঝড়ু ২৬ রান করেন।
Posted ২:০০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy