সংবাদ বিজ্ঞপ্তি(২৬ জুলাই) :: আন্তর্জাতিক মেডিকেল সংস্থা মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) রবিবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত নয়াপাড়া রিফিউজি ক্যাম্পে একটি কোভিড-১৯ আইসোলেশন ও চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করছে।
চালু হতে যাওয়া এই শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ জনিত আইসোলেশন ও চিকিৎসা কেন্দ্রটি (সারি-আইটিসি) এমএসএফ এর একটি নতুন সংযোজন যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রতিষ্ঠানটির চলমান কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ।
প্রাথমিকভাবে ২০ শয্যা নিয়ে চালু হতে যাওয়া নয়াপাড়া সারি-আইটিসি ১০০ শয্যা ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। এই কেন্দ্রটি এই এলাকার ক্রমবর্ধমান কোভিড-১৯ সংক্রমণের চিকিৎসায় বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্কের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
এমএসএফ এর হেড অফ মিশন মিউরিয়েল বোঁশিয়ে বলেন, “এই কঠিন সময়ে জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেএকযোগে হয়ে এই দূর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করা আমাদের লক্ষ্য।”
এই কেন্দ্রটিতে জরুরী চিকিৎসা সেবা ও অক্সিজেন কন্সেনট্রেটর সুবিধা রয়েছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত মারাত্মক লক্ষণজনিত রোগীদের চিকিৎসা দিতে সক্ষম। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেয়ার অভিজ্ঞতা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ (আইপিসি) এর সর্বশেষ নীতিমালা অনুসরণ করে এই কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে।
“আমরা রোগীদের জন্য নিরাপদ আইসোলেশন ও চিকিৎসা সুবিধা দিচ্ছি। এখানে দর্শনার্থীদের জন্য একটি রুম থাকবে, যার মাধ্যমে তারা হাসপাতালে ভর্তি পরিবারের লোকেদের সাথে দেখা করতে পারার পাশাপাশি চিকিৎসা কার্যক্রম সরাসরি দেখতে পারবেন। “, বোঁশিয়ে জানান।
এই চিকিতসাকেন্দ্রের কর্মীরা স্থানীয় গণমান্য ব্যাক্তিবর্গ, স্থানীয় বাসিন্দা এবং ক্যাম্প ২৬ এর অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্মীদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। এতে করে, কারো মধ্যে কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখাদেয়া মাত্র তাকে এমএসএফ সারি-আইটিসিতে ভর্তি করা সম্ভব হবে।
বোঁশিয়ে বলেন, “এমএসএফ এই সারি-আইটিসি স্থাপনে সব ধরণের সহযোগিতার করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ। তাদের কারণেই এটা সম্ভবপর হয়েছে।”
অন্যান্য জরুরী চিকিৎসাসেবা চলমান রাখার পাশাপাশি এই বৈশ্বিক মহামারী প্রতিরোধে কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা এবং কক্সবাজারে সর্বমোট ১১ টি হাসপাতাল ও প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালনা করছে এমএসএফ।
এর মাধ্যমে একটা বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে ইনপেশেন্ট ও আউটপেশেন্ট সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে, যার মধ্যে আছে – জরুরী ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ সেবা, শিশুরোগ, গাইনীরোগ, যৌন ও প্রজনন সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাকে জয় করা নারীদের জন্য সেবা, অসংক্রামক রোগ ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশাজীবিদের জন্য সেবা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
কোভিড-১৯ মোকাবেলার অংশ হিসেবে, সমাজের সর্বস্তরে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এমএসএফ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য আইপিসি ও প্রতিরোধমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি এমএসএফ সবগুলি চিকিৎসাকেন্দ্রে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করেছে।
এমএসএফ বাংলাদেশে প্রায় ৫০ বছর ধরে উদ্ভুত স্বাস্থ্য সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসা বিষয়ক মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ১৯৭২ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করে।
Posted ২:২৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy