বিশেষ প্রতিবেদক(২৮ জুলাই) :: কক্সবাজার শহরের বহুল আলোচিত সকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে মৃত আবদু সামাদ গংর এর অবৈধ দখলে থাকা অন্তত ৫ কোটি টাকার মুল্যের সরকারি খাস জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে প্রশাসন যে সুনাম কুড়িয়েছিল তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার অভিযান চালানোর ৬ ঘন্টার মধ্যেই আবারো দখলে নিয়েছে দখলবাজরা।
২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় হাসপাতাল সড়কের সেন্ট্রাল হাসপাতালের পার্শ্বে সরকারী জায়গাটি আংশিক উচ্ছেদ করে সিগালা করে দেয় কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার ভুমি পংকজ বড়–য়া। কিন্তু শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায় উচ্ছেদের পরপরই দখলদাররা আবার জায়গা দখল করে জেলা বিএনপি নেতা এস্তেফাজুর রহমান গংরা।
দেখা গেছে,রাস্তার পাশে কংক্রিটের স্থাপনা করা দোকানের আংশিক অংশ ভাঙ্গা হয়েছিল সেগুলো আবার টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। কিছু দোকান ইট-বালু দিয়ে পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ৫ কোটি টাকার মুল্যের সরকারি খাস জমিতে অবৈধ দোকান বিক্রি করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দখলবাজরা।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য এস্তেফাজুর রহমান’র ব্যক্তিগত ফোনে অনেকবার কল করা হয়; প্রতিবারই বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি পংকজ বড়–য়া বলেন এই জমি সম্পূর্ন সরকারি ১ নং খাস খতিয়ানের, ৭০০১ দাগের ৩০.৭১ পয়েন্ট জমি। এখানে অবৈধ দখলদাররা নানান অজুহাতে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে এতদিন অবৈধ দখলে ছিল। তাই সরকারি সার্থে এই মুল্যবান জমি উদ্বার করা হচেছ। কিন্তু আবারও যারা দখল করেছে এবং যারা সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় শহরের সকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এবং সেন্ট্রাল হাসপাতালের পাশে মৃত আবদু সামাদ গংরা অবৈধ দখলে থাকা অন্তত ৫ কোটি টাকার মুল্যের সরকারি খাস জমিতে অভিযান চালায় প্রশাসন ।
কিন্তু উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার ভুমি পংকজ বড়–য়ার সাথে বাকতিন্ডায় জড়ায় অবৈধ দখলদাররা। এ সময় দখলদারদের পক্ষে জেলা বিএনপি নেতা এস্তেফাজুর রহমান, মৃত আবদু সামাদের স্ত্রী হাসিনা বেগম, ছেলে সরওয়ার কামাল রুমি, আরেক ছেলে সরওয়ার কামাল টিপু, এবং এস্তেফাজুর রহমানের মেয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নিয়োজিত শ্রমিকদের বেশ কয়েক দফা হামলা চালায়।
পরে সহকারী কমিশনার ভুমি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সাথে অবৈধ দখলে থাকা ঘরের বেশ কিছু অংশ গুড়িয়ে দেয়।উচ্ছেদ অভিযানে আরো সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মোঃ সেলিম শেখ। সদর সহকারী তহসিলদার ছৈয়দ নুর, মেজবাহ উদ্দিন।
?
Posted ১০:৪৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy