বিশেষ প্রতিবেদক(৬ সেপ্টেম্বর) :: প্রথমবারের মত পর্যটকদের সুবিধার্থে সমুদ্র সৈকতে রাতের বেলায় যুক্ত হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আলোকব্যবস্থা। এর ফলে রাতের বেলায়ও সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্য ভোগ করছে পর্যটকেরা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সভাপতি মো: আলী হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে সমুদ্র সৈকত আলোকিত করণের এই ব্যবস্থার।
বুধবার রাতে সৈকত পরিদর্শনে গিয়ে কয়েকজন পর্যটকের সাথে কথা বলেন এ প্রতিবেদক।
টঙ্গী থেকে কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা শানহাজ পারভীন রানী বলেন, রাতের আলোয় সমুদ্রে দেখছি রুপালী ঢেউ-এর খেলা। আগে সন্ধ্যার সাথে সাথে হোটেল কক্ষে ফিরে যেতাম কিন্তু আজ রাত ১০টা পর্যন্ত থাকব। এখনকার পরিবেশও খুব ভাল।
চট্টগ্রাম থেকে আগত আরেক পর্যটক বেলাল উদ্দিনকে রাতের বেলা সমুদ্রে ভ্রমণের কারণ জানতে চাইলে বলেন, দিনের বেলা সমুদ্র গর্জন কম শোনা গেলেও রাতের বেলা এর গর্জন স্পষ্ট শুনতে পাই। আলোকিত হওয়ার কারণে রাতের বেলা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমনের এক নতুন মজা অনুভব করছি। তা ছাড়া দৃশ্যও অনেক সুন্দর।
ঢাকা থেকে আগত অপর পর্যটক হোসেইন আরাফাত বলেন, সমুদ্র সৈকত খুব আলোকিত এখন। আনন্দ করে রাত কাটানো যায়। নিরাপত্তাও পাচ্ছি আমরা।
রাতের বেলায় সমুদ্র সৈকত আলোকিত করণের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন বলেন, বেশীরভাগ পর্যটক দিনের বেলা সৈকতে ভ্রমণে আসে। কিন্তু অন্ধকার থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রাতের সৈকতকে তারা দেখতে পারে না। রাতে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য অপরূপ। নিরাপত্তা যাতে বিঘিœত না হয় সেদিকে নজরদারী আছে।
এছাড়া তিনি আরও জানান, প্রথম পর্যায়ে লাবণী বীচ পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা বীচ পয়েন্টের বিভিন্ন স্থানে ১০টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইট স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে তা কলাতলী বীচ পয়েন্ট পর্যন্ত বিস্তৃত করা হবে।
সমুদ্রসৈকত আলোকিত থাকায় যুক্ত হয়েছে বিনোদনের এক নতুন মাত্রা। আর তাই পর্যটকেরা এ প্রতিবেদকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
Posted ২:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy