কক্সবাংলা রিপোর্ট :: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক)কাছে দ্রুত হস্তান্তরের সুপারিশ উঠে এসেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বজলুল হক হারুন, মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং আনোয়ারুল আশরাফ খান অংশ নেন।
বর্তমানে জেলার ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) নেতৃত্বে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি সৈকতের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠার পর সমুদ্রসৈকতের দায়িত্ব উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়। কিন্তু বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বহাল থাকায় এ নিয়ে দ্বৈধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ১৫ ডিসেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছেও বিষয়টি ব্যাখ্যা করে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল থেকে অনুমোদন দেয়া ঝুপড়ি দোকান, বিচ বাইক ইত্যাদির কারণে সৈকতের আবর্জনা বাড়ছে। ফটোগ্রাফারদের ‘দৌরাত্ম্য’ বেড়ে গেছে বলেও জানানো হয় চিঠিতে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, কক্সবাজারে একটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আছে। তাদের কাছে সমুদ্রসৈকতের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিলে পরিবেশ সুন্দর থাকবে। নিয়ম অনুযায়ী একটি কর্তৃপক্ষের কাছেই বিচের ম্যানেজমেন্ট থাকা দরকার। এজন্যই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। সৈকত তো যেমন তেমন চলতে পারে না। আগেও কমিটি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। আজ আমরা দ্রুত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচের ম্যানেজমেন্ট তুলে দিতে বলেছি।
বৈঠকে ঢাকার রমনা পার্কের ‘অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং রমনা পার্কের লেকসহ সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের পূর্বের অনুমোদিত মূল নকশা অনুযায়ী দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা হয়। গত মাসেও কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটি বস্তিবাসীদের জন্য মিরপুরে ভাড়াভিত্তিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও আরো নতুন প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করে।
Posted ৩:০৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy