বার্তা পরিবেশক(২০ জুলাই) :: বাংলাদেশের শ্রেষ্ট কবি কবি আল মাহমুদ। তাঁকে বহুমাত্রিক শক্তিমান কবি বললে অত্যুক্তি হবে না। তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, শিশুতোষ লেখা দুই হাতে লিখলেও সবকিছুকে ছাড়িয়ে তাঁর কবি খ্যাতিটি উৎরে গেছে।
বিশেষ করে তাঁর সোনালী কাবিন, নোলক কবিতায় গ্রামের জীবন যেমন ফুটে উঠেছে তেমনি মায়ের প্রতি ভালাবাসা পাঠককে সহজেই কাছে টানতে পেরেছে। তাঁর বিভিন্ন কবিতা, গল্পে ও উপন্যাসে উঠে এসেছে গ্রামের লোকজ উপাদান।
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর ৪২৩তম পাক্ষিক সাহিত সভায় কবি আল মাহমুদের ৮৩তম জন্ম-জয়ন্তী পালন উপলক্ষে আলোচনা বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
অদ্য ২০ জুলাই শুক্রবার একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভা কক্ষে একাডেমীর সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। একাডেমীর নির্বাহী সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী আবুল কালাম সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হাসান আগমদ সোবহানী ‘কবি আল মাহমুদের জীবনালেখ্য’ নিয়ে লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন।
সভায় বক্তাগণ আরো বলেন, বাংলা সাহিত্যে অনবদ্য অনন্য অপার বিরল সৃষ্টি কালজয়ী কাব্য ‘সোনালী কাবিনে’র ¯্রষ্টা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ প্রতিভাবান ও শক্তিমান কবি এবং এক প্রবাদতুল্য কিংবদন্তির নাম কবি আল মাহমুদ।
বিগত কয়েক দশক বাংলা কবিতা যার হাত ধরে আজ চরম উৎকৃষ্ট ও উন্নত শিখরে অবস্থান করছে তিনি কবি আল মাহমুদ। বাংলা কবিতাকে নতুন রূপে, নতুন ভাবে, নতুন আঙ্গিকে চিত্রকল্পের রঙে রাঙিয়ে নতুন ধারায় আধুনিকতার পরশে নির্মাণ করেছেন কবিদের কবি কবিতার নাবিক শব্দশ্রমিক সবার প্রিয় কবি আল মাহমুদ।
কবি আল মাহমুদ বলেছেন- ‘কবিতা আমার জীবন।’ অবশ্য কবি আল মাহমুদ শুধুমাত্র কবি হিসেবেই নয়, তিনি একাধারে একজন শক্তিমান গল্পকার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, গবেষক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক।
বক্তাগণ বলেন, বাংলা কবিতার আকাশে কালজয়ী সৃষ্টি ‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থটি কবি আল মাহমুদকে সত্যিকার অর্থে অন্যতম প্রতিভাবান প্রতিশ্রুতিশীল প্রজ্ঞাবান, সৃজনশীল এবং শ্রেষ্ঠরূপকার কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ‘সোনালী কাবিন’ কবিকে কাল থেকে কালান্তরে, যুগ থেকে যুগান্তরে, অতীত থেকে বর্তমানে আর বর্তমান থেকে সুন্দর আগামীতেও বহমান খরস্রোতা নদীর মতো বয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। এই জন্য বলতে পারি যে, কবি আল মাহমুদের অপার সৃষ্টি ‘সোনালী কাবিন’ লেখার পরে তিনি যদি আর কোনো কবিতা নাও লিখতেন তবুও তিনি বাংলা কাব্যকাশে অমর, অক্ষয় এবং চিরভাস্মর হয়ে জাগ্রত থাকতেন ও থাকবেন।
একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন একাডেমীর স্থায়ী পরিষদ চেয়ারম্যান কবি, এডভোকেট সুলতান আহমেদ, স্থায়ী পরিষদ সদস্য গবেষক নূরুল আজিজ চৌধুরী, স্থায়ী পরিষদ সদস্য কবি অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী, একাডেমীর জীবন সদস্য কবি মনজুরুল ইসলাম, একাডেমীর অফিস সম্পাদক আজাদ মনসুর ও সদস্য গুলশান আরা বেগম বিউটি।
আলোচনা শেষে সুলতান আহমেদ, রুহুল কাদের বাবুল, হাসান আহমদ সোবহানী ও আজাদ মনসুর কবিতা পাঠ করেন।পরিশেষে কবি আল মাহমুদের সুস্থ কামনা করা হয়।
Posted ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy