মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া(২৯ ডিসেম্বর) :: রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোট আদায়ে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে নিয়োজিত কর্মকর্তারা পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
রবিবার বিকাল থেকে দুই উপজেলার ১৩৯টি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে যাবেন প্রিজাইডিং অফিসারদের নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচনী টিম।
এই আসনে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮২৯জন ভোটার ১৩৯টি কেন্দ্রের ৭২৪টি কক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ আসনে সুষ্টু ভোট আদায়ে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২১১৮ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
চকরিয়া উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান জানান, চকরিয়ার একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নে ৯৯টি কেন্দ্রের ৫২৫টি কক্ষে ভোট প্রয়োগ করবেন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৫০জন ভোটার। দুরত্ব ও যোগাযোগের কারনে ৯৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি ইউনিয়নের ২৭টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে।
এই উপজেলায় ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সোহেলের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ৫০ সদস্য, লে. মির্জা সাহেদ মাহতাবের নেতৃত্বে র্যাবের ৩৫ সদস্য, লে. কর্ণেল মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবির ১৬০ সদস্য, পুলিশের ৩০০ সদস্য ও আনসার বাহিনীর ১১৮৮সদস্য সুষ্ট ভোট আদায়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
পেকুয়ায় দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং অফিসার মাহাবুব-উল করিম বলেন, পেকুয়ার ৭টি ইউনিয়নে ৪০টি কেন্দ্রের সবকটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোর ১৯৯টি কক্ষে ১ লাখ ৬হাজার ২৭৯জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করবেন।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন মেজর হাবিবের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ৫০ সদস্য, লে. কর্ণেল আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে বিজিবির ১৪০ সদস্য, লে. মির্জা সাহেদ মাহতাবের নেতৃত্বে র্যাবের ৩৫ সদস্য পুলিশের ৮০ সদস্য আনসার বাহিনীর ৪৮০ সদস্য।
দুই উপজেলার সহাকারী রিটার্নিং অফিসারদ্বয় বলেন, সকল নির্বাচনী সরঞ্জাম উপজেলার কন্ট্রোলরুমে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। বিকাল থেকে প্রিজাইডিং অফিসাররা নির্বাচনী সরঞ্জামসহ স্ব-স্ব কেন্দ্রে চলে যাবেন।
Posted ১১:৪৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy