এম রমজান আলী,মহেশখালী(১৯ জুন) :: কক্সবাজার-২ মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের জনপদে বইছে এখন নির্বাচনী হাওয়া। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মাথায় রেখে ঈদুল ফিতরের সুযোগে সম্ভাব্য প্রার্থীরা পড়ে রয়েছেন মাঠে-ময়দানে। সম্প্রতি মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে প্রার্থী বদলের খবরে দলীয় মনোনয়ন পেতে অনেকেই কেন্দ্রে লবিং-তদবির করছেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের।আর তাই নির্বাচনেও বড় দুই দল কিংবা জোট থেকে হেভিওয়েট প্রার্থী দেখা যেতে পারে।
ভোটারের ধারনা এ আসনে বর্তমান এমপির সাংগঠনিক ভিত্তি নিতান্তই দুর্বল হওয়ায় এবং এলাকায় যোগ্য প্রার্থীর অনুপস্থিতির ফলে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা। সম্ভাব্য এসব প্রার্থী চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ, প্রচারণা।
প্রতিটি চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন জায়গায় জমে উঠেছে তাদের পছন্দের প্রাথীদের নিয়ে নানান কল্পনা জল্পনা। ঈদুল ফিতরে সম্ভাব্য এ সব প্রার্থী এলাকার জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। এর আগে তারা ঈদ সামগ্রীও বিতরণ করেছেন। দুর্গত এলাকায় গিয়ে জনগণের দুঃখ-দুর্দশার সাথী হচ্ছেন তারা। দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তারা একটা শক্ত অবস্থানও তৈরি করেছেন।
আবার অনেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মাঠে রয়েছেন। করছেন তারা উঠোন বৈঠক, পথসভা। সম্ভাব্য এসব প্রার্থী তুলনামূলকভাবে অনেকেই বয়সে তরুণ।
বিশেষ করে আওয়ামীলীগ ঘরনার হেভিওয়েট প্রার্থী-পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আনসারুল করিম জানান,আমি সবসময় এলাকার মানুষের সুখে, দুঃখে ছিলাম, আছি, থাকব। তিনি বলেন, নেত্রীর কাছ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মানুষের সঙ্গে থাকব। আমি আশাবাদী এলাকার মানুষও আমার সঙ্গে থাকবে।
এ আসনে আরেক তরুণ প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ওসমান গণি তিনিও এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে পরিচিতি পাওয়ার প্রাণান্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সে লক্ষ্য নিয়েই তিনি এলাকায় ঈদুল ফিতরে ঈদসামগ্রী বিতরণ করেছেন। দুর্যোগকালীন জনগণের সঙ্গে রয়েছেন।দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় জনসংযোগ প্রচারণা চালিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। তিনি আশাবাদী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাবেন।
জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘরনার প্রার্থী-সাবেক সাংসদ আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ বলেন, এ এলাকা বিএনপির ঘাঁটি। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে দলের দায়িত্ব পালন করছি। বিএনপির সব আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘরনার প্রার্থী-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের সময় প্রতিটি এলাকার বাড়ি, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, মসজিদ, মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করা হয়েছে। যদি ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে যায়, তা হলে ভোটাররা অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার চিন্তা করবে না।
এছাড়া আওয়ামীলীগ নেতা সরওয়ার আজম বিএ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মার্শাল পাভেল, জাতীয় সাহিত্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদাত উল্লাহ খান সহ আরো অনেকে, সাবেক ডিডিসি (উপমন্ত্রী) আলহাজ্ব রশিদ মিয়া বিএ’র পুত্রবধু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির পর্যটন শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা সভাপতি আলহাজ্ব শামীম মোস্তফা সহ আরো অনেকে, ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ঘরনার প্রার্থী-ইসলামীক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাবশালী নেতা, সাবেক ছাত্র নেতা এ এম মাসুদুল ইসলাম মাসুদ (চেয়ার প্রতীক), চরমোনাই পীর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী ড. জসিম উদ্দিন নদভী (হাত পাখা) বিভিন্ন দলের অংখ্য প্রার্থীরা মাঠে ময়দানে চষে বেড়াচ্ছেন।
Posted ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২০ জুন ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy