হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি(১৮ জুলাই) :: সম্প্রতি রামুর কচ্ছপিয়াতে পাহাড় খেকোঁ বেড়ে যাওয়ায় যৌথ অভিযানে নামে, উপজেলা প্রশাসন রামু ও বনবিভাগ। কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পূর্বতিতার পাড়া মুরা পাড়াতে, সরকারী বনবিভাগের বিশাল পাহাড় কেটে বসতি নির্মান করছে এমন খবর অনলাইন ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, তা উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে।
যার প্রেক্ষিতে ১৮ জুলাই শনিবার সকাল ১১ টায়, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রনয় চাকমার নেতৃত্বে, বাকঁখালী রেন্জকর্মকর্তা একেএম আতাইলাহীর সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে বনবিভাগের জায়গায় পাহাড় কেটে অবৈধ বসতি গুড়িয়ে দিয়ে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় গাছের চারা গাগিয়ে দেন। অভিযানে সহায়তা করেন, রামু থানার এএসআই আরিফসহ একদল পুলিশ।
রেন্জ অফিসার একেএম আতাইলাহী জানান, ‘পাহাড়ে যৌথ অভিযানের টের পেয়ে, পাহাড় খেকোঁ রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পূর্বতিতার পাড়া মুরা পাড়ার নুরুল হক প্রকাশ চিট্টা মৌলভির নেতৃত্বে, নুরুল আলম, ছৈয়দ, রুহুল আমিন ও মোক্তার সহ অজ্ঞাত সংঘবদ্ধ ১০/১৫ জন পালিয়ে যায়।
বাকঁখালী রেন্জ অফিসার, পালিয়ে যাওয়া পাহাড় খেকোঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হবে বলে নিশ্চিত করেন’।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রনয় চাকমা জানান, সরকারী জায়গায় পাহাড় কেটে অবৈধ বসতি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে। ওই জায়গায় আবার কেউ দখল করতে আসলে তাদের বিরুদ্ধে কঠুর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন ইউএনও। তাছাড়া, রামুতে পাহাড় কাটা, বাল্য বিবাহ, অবৈধ বালি উত্তোলনসহ সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনা করেন ইউএনও।
Posted ১০:৪৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy