নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(১৩ জানুয়ারী) :: বছরের শুরুতেই কোমলমতি শিশুদের হাতে বিনামূল্যে রং বেরং এর বই তুলে দিয়েছে সরকার। তারপরও কুতুবদিয়ায় ব্যাঙের ছাতারমত গজে উঠা কেজি স্কুল গুলোকে কমিশনসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওইসব কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিন্মমানের প্রকাশনীর নানা নামের রং বেরং এর গাইড বই ক্রয় করতে বাধ্য করা হচ্ছে হলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি এসব লাইব্রেরীতে প্রকাশনী কর্তৃক বিনামূল্যে বিতরণের জন্য দেয়া সৌজন্য সংখ্যাও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেছেন, দ্বীপের বিভিন্ন কেজি স্কুলের নার্সারী শ্রেণির জন্য ৫ থেকে ৭টি বই নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তার উপরের শ্রেণি সমূহে সবোচ্চ ১২ থেকে ১৫টি পাঠ্য ধরে দেওয়া হয়েছে। সেই বই গুলো কেনার জন্য নির্দিষ্ট বইয়ের দোকান দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। আর সেখানে বই কিনতে গেলেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে অভিভাবকরা।
অভিভাবকরা জানান, উপজেলা সদরে থাকা লাইব্রেরীর গুটি কয়েক মুনাফালোভী ব্যবসায়ী শিক্ষাকে বাণিজ্যে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বই বেঁচে দেয়ার শর্তে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছে শিক্ষকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে।
তাদের দেয়া কমিশনসহ বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙের ছাতার মত গজে উঠা কিন্ডার গার্টেনগুলো কোমলমতি শিশুদের নি¤œ মানের বই চড়া দামে কিনতে বাধ্য করছে। আর চড়া দামের এই সব বই কিনতে হিমশিম খাচ্ছে অভিভাবকেরা।
বড়ঘোপ এলাকার আক্কাস উদ্দিন নামের এক অভিভাবক জানান, তিনি ভাতিজার জন্য মেডিকেল গেইটের একটি বইয়ের দোকান থেকে নার্সারি শ্রেণির (৫টি) এক সেট বই কিনেছে ৪৪০ টাকায়। তাও আবার বই গুলোর মূল্যের জায়গায় হাতের লেখা।
তিনি অভিযোগ করেন, বইয়ের মূল্য হাতে লিখে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বইয়ের দোকানদার ।
Posted ৭:৪৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Chy