নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(২১ জুন) :: কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় গত আড়াই মাস ধরে করোনার উপস্থিতি না থাকলেও গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এক সপ্তাহের মধ্যেই উপজেলায় ১৬ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। রবিবার (২১ জুন) আরও তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২০ জনে।
তারা হলেন কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসক ডাঃ মামুনুল হক (২৯), কৃষি ব্যাংক ধুরুং শাখার দুই কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল হক (৫৮) এবং মোঃ নাদিমুল ইসলাম (২৮)।
তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার (২০ জুন) নতুন ৩ জনসহ উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত ছিল ১৭ জন। সুস্থ হন ৬ জন।
শনিবার সনাক্তরা হলেন, উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের কালারমার মসজিদ পাড়ার মাজহারুল হকের দুই নাতি তাসনোভা (৩) ও নাওজা (৯)। অন্যজন হলেন মাজহারুল হকের পাশের বাড়ির নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী বিউটি (২৯)।
এদিন তাসনোভার পিতা কামরুল ও নাওজার পিতা শাহনেওয়াজের রিপোর্ট নেগেটিভ বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৯ জুন) মাজহারুল হকের স্ত্রী মমতাজ বেগম(৬৫) এবং দুই ছেলের বউ তামান বেগম (৪০) ও সোনামন (২৫) এর করোনা সনাক্ত হয়। তারও আগে গত সোমবার (১৫ জুন) করোনা সনাক্ত হর মাজহারুল হকের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে মেহেরুজ্জামান (২৬) এর।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের মনোহরখালী গ্রামের শামসুল আলম এর পুত্র বোট শ্রমিক মোহাম্মদ হোছাইন (৪২)’ র করোনা সনাক্ত হয়।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) করোনা সনাক্ত হন ব্র্যাক এনজিও’র কর্মচারী ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান (৪০)।
সোমবার (১৫ জুন) আক্রান্ত হন শরীয়তপুরের বাসিন্দা কুতুবদিয়া বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিক গিয়াস উদ্দিন এর স্ত্রী শারমিন আকতার(২৫)।
রবিবার (১৪ জুন) করোনা সনাক্ত হয় সোনালী ব্যাংক কুতুবদিয়া শাখার অফিসার জসিম উদ্দিন (২৮), গ্রামীণ ব্যাংক বড়ঘোপ শাখার অফিসার আলী আহমদ (৩৭) ও একই ব্যাংকের ধূরুংবাজার শাখার কর্মচারী আমির হোছাইন (৩০)। অবশ্য পরের ফলোআপ রিপোর্টে তাদের তিনজনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
Posted ৪:১৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২২ জুন ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy