নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(২৩ ডিসেম্বর) :: কুতুবদিয়া সমূদ্র সৈকতকে সবুজায়নের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করে দ্বীপকে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছেন কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জিয়াউল হক মীর। এ মহতী কাজে সহযোগিতা করে নিজেদেরকে স্মরণীয় করে রাখতে এগিয়ে এসেছে উপজেলায় কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা।
প্রাথমিক পর্যায়ে দ্বীপের পশ্চিম পার্শ্বের দৈর্ঘ সমূদ্র সৈকতে ১০ হাজার ঝাউ চারা রোপন করা হবে বলে জানান তিনি। দ্বীপের নার্সারীগুলোতে ঝাউচারা না থাকায় অন্য উপজেলা থেকে চারগাছগুলো সংগ্রহ করে এনে রোপন করতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে কৈয়ারবিল ও আলী আকবর ডেইল অংশে চার কিলোমিটারেরও বেশী স্থানজুড়ে পাঁচ হাজারের অধিক ঝাউচারা রোপন সম্পন হয়েছে। বাকী চারগাছগুলো পর্যাক্রমে রোপন করা হবে।
এসব রোপিত চারা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের। তিনি নিজেও অফিসারদের সাথে নিয়ে চারাগাছগুলো দেখতে নিয়মিত ছুটে যান সৈকতে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জিয়াউল হক মীর বলেন, উপকূল রক্ষার একমাত্র কবচ হলো বনায়ন। বনায়ন ছাড়া ভাঙনের কবল থেকে উপকূল রক্ষ করা সম্ভব নয়। ঝাউ গাছ একদিকে দ্বীপের সৌন্দর্য্য বাড়াবে, অন্যদিকে প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। জিও-এনজিও সবাই মিলে এভাবে একসাথে কাজ করলে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন দৃশ্যমান হবেই।
দ্বীপের সচেতন মহল মনে করেন, ইউএনও’র উদ্যোগে রোপিত এসব চারাগাছ যত্ন করে বড় করার দ্বায়িত্ব যেমন নিজেদের নিতে হবে তেমনি নিজেদেরও উদ্যোগ নিতে হবে স্থানীয় বনবিভাগের মাধ্যমে দ্বীপের চতুরপাশে বনায়ন নিশ্চিত করার।
ঝাউবিথি কুতুবদিয়া দ্বীপের সৌন্দর্য্যরে একটি অংশ এবং দ্বীপ রক্ষার কবচ। ইউএনও’র উদ্যোগে ১০ হাজার চারাগাছ রোপন দ্বীপের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির যেমন একটি অংশ তেমনি দ্বীপকে রক্ষার এটি একটা প্রচেষ্টাও বলা যায়। দ্বীপের আপামর জনসাধারণ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নিজেরা ভূমিকা না রাখলে সাগরের ভাঙনের কবলে পড়ে নিশ্চিহ্ন হতে পারে এই দ্বীপ।
Posted ১২:০১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Chy