কক্সবাংলা ডটকম(১৬ নভেম্বর) :: পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপির শীর্ষ যুব নেত্রী অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী। তিনি দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী নিতাই চৌধুরীর কন্যা। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ বিএনপির অপর শীর্ষ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ।
বুধবার মনোনয়ন পত্র তোলা ঘিরে বিএনপির কর্মী সমর্থকদের ভিড় সামাল দেওয়ার সময় ঢাকার নয়াপল্টনে সংঘর্ষ বেধেছিল। তাতে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়েছিল। পুলিশ রাবার বুলেট ছোঁড়ে ও টিয়ারগ্যাস চার্জ করে। সেই ঘটনার পর যে সব ছবি প্রকাশ হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী দলীয় কর্মীদের নিয়ে উসকানি দিচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার নিপুণ রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এর আগেও তাঁর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে সেই ধস্তাধস্তির ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নিপুণ।
নিপুণ রায়ের পাশাপাশি বিএনপির অপর নেত্রী বেবি নাজনিনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।এদিকে দলের যুবনেত্রী নিপুণের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিপুণ রায় চৌধুরীসহ সাতজন ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর নয়াপল্টনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার দায়ের করা মামলায় দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ সাতজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন, ইউনুস মৃধা (৬১), আবুল হাশিম সবুজ (৪৮), মামুন আর রশিদ (৩৮), আরিফা সুলতানা রুমা, আমির হোসেন (৪০) ও মো. মহাসিন (৪৮)।শুক্রবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কামরুল ইসলাম আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও নিপুণ রায়ের বাবা অ্যাডভোকট নিতাই রায় চৌধুরী আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানির সময় আদালতে গয়েশ্বর চন্দ্র নিজেও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) নয়াপল্টনের নাইটিংগেল মোড় থেকে পল্টন থানার নাশকতা মামলায় গ্রেফতার হন নিপুণ রায় চৌধুরী।
গত ১৪ নভেম্বর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা তিনটি মামলার তদন্ত কাজ বৃহস্পতিবার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পূর্ব বিভাগ) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, এ তিন মামলায় বৃহস্পতিবার ( ১৫ নভেম্বর) বিএনপির ৬৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিচারক ৩৮ জনকে রিমান্ডে এবং ২৭ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের অন্তত ২০ জন, বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় নাশকতার তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।