নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৮ ফেব্রুয়ারী) :: পেকুয়ায় রাজপথে দেখা মেলেনি বিএনপি’র। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে বৃহষ্পতিবার উপজেলা পেকুয়ায় দলটির কোন নেতাকর্মীর দেখা পাওয়া যায়নি রাস্তায়। তবে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ ছিল রাজপথে।
রায়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে কোন ধরনের ছাড় না দিতে দলটির নেতাকর্মীরা সারাদিন সড়কে অবস্থান নেয়। যেকোন ধরনের নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে আ’লীগ শক্তিশালী অবস্থান নেয় পেকুয়ায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যান্ত দলটির নেতাকর্মীরা পেকুয়ায় বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান সুসংহত করে।
উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু ও সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেমের নেতৃত্বে এ দলটির পেকুয়া বাজার, চৌমুহনী, কাটাফাঁড়ি ব্রীজসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়।
এছাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো.বারেকের নেতৃত্বে যুবলীগের শত শত নেতাকর্মীরা পেকুয়ায় রাজনৈতিক বলয় তৈরি করে।
একইভাবে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুরের নেতৃত্বে বিপুল পরিমান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নেতাকর্মীরা সড়কে অবস্থান নেয়।
টইটং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে এ ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা সারাদিন সড়কে অবস্থান নেয়।
রাজাখালীতে ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম আজাদ ও চেয়ারম্যান ছৈয়দনুরের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে ছিল। মগনামায় খাইরুল এনাম ও রশিদ আহমদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা রাস্তায় ছিল।
ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচীর নেতৃত্বে বারবাকিয়া ও শীলখালীতে শত শত দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান জোরদার করে। আবুল হোসেন শামা ও কামাল হোসেন লোকজন নিয়ে সড়কে অবস্থান নেয়।
উজানটিয়ায় তোফাজ্জল করিম, চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, শাহজামাল মেম্বার ও সোনালী বাজারে নুরুল আজিম, আবু তৈয়ব নেতাকর্মীদের নিয়ে রাস্তায় ছিল।
আইনশৃংখলাসহ সার্বিক বিষয়ে নিছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে প্রশাসন। বিজিবির স্টাইকিং র্ফোস, পেকুয়া থানা পুলিশ ও ইউএনও সারাদিন টহল জোরদার করে। উপজেলায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত সংর্ঘষ কিংবা কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে এ খবর পাওয়া যায়নি।
ক্ষমতাসীন দলের দু’পক্ষের উত্তেজনাঃ
এদিকে রায়কে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সকালে ও দুপুরে পৃথক হাতাহাতি ও বাকবিতন্ডা হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেমের ছোট ভাই উপজেলা আ’লীগ সদস্য আবুল হাসেম টুনুর মধ্যে দুপুরে চৌমুহনীতে বাকবিতন্ডা চৌমুহনীতে আ’লীগের একটি বলয় তৈরি করা হয়।
টুনুর নেতৃত্বে ২০-৩০জন নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান নেয় সকাল থেকে। দুপুরের দিকে জাহাঙ্গীর আলম সেখানে যায়। এ সময় তারা দু’জনের মধ্যে বচসা হয়েছে।
সকালের দিকে জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই আজমগীর চৌমুহনীতে মুজিব নামের এক আ’লীগ সমর্থককে মারধর করে। আবুল হাসেম টুনু জানায় আমরা শান্তিপুর্ন অবস্থান নিই চৌমুহনীতে। রায় ঘোষনার সাথে সাথে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এসে উপস্থিতি দেখতে পেয়ে চড়াও হয়।
এক পর্যায়ে সে আমাদের লক্ষ্য করে গালমন্দ করছিল। আমরাও তাকে ছাড় দেয়নি। উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু জানায় আসলে খালেদা জিয়ার রায়ে আমাদের মধ্যে একটি পক্ষ খুশি হয়নি। তারা রায়ের সাথে সাথে আমাদের কিছু কর্মীদের উপর রেগে যায়। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটায় চৌমুহনীতে। এরা সালাহ উদ্দিনের অনুচর। বিষয়টি জেলা আ’লীগসহ রাজনৈতিক উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।
Posted ৯:৪১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy