হাবিবুর রহমান সোহেল, নাইক্ষ্যংছড়ি(১৯ মার্চ) :: রামু উপজেলার গর্জনিয়া কচ্ছপিয়াতে বিভিন্ন রাজ নৈতিক দলের সাইন বোর্ড ব্যবহার করে এলেকার শতাধিক বখে যাওয়া যুবক ওই মরন নাশা ইয়াবা পাচারে জড়িয়ে পড়েছে বলে ধারনা করেন এলেকার সচেতন মহল। ওই সব পাচারকারীর সংখ্যা এক সময় এই এলেকায় কম থাকলেও বর্তমানে আশংকা জনক হারে বাড়ছে।
যার প্রমান নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির হাতে বিভিন্ন সময় আটক হওয়া ওই সব ইয়াবা পাচারকারীর সংখ্যা দেখলে পাওয়া যাবে। আর এই সব ইয়াবা পাচার কারীরা নিত্য নতুল ভালো কাপড় চোপড় পড়ে বিভিন্ন দামী দামী অবৈধ চোরাই মোটর সাইকেল ব্যবহার করতে দেখা যায় বলে জানান একাধিক সুত্র।
নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক একজন দাবী করেন, কচ্ছপিয়ার ফাক্রির কাটা, নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি, ফুলতলি, লেবুছড়ি এবং গর্জনিয়ার থিমছড়ি বড়বিল এলেকার অধিকাংশ টমটম ও সিএনজি চালক গাড়ির ইন্জিন বক্সের ভিতর করে ইয়াবা পাচার করে। যেমনটা কিছু আগে ধরা পড়েছিল নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির হাতে।
আর ওই সব পাচার কাজে ওই এলেকার শতাধিক যুবক জড়িত বলে একটি সুত্র দাবী করেন। এই দিকে সর্বনাশা ইয়াবার ছোবল এখন নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়াতে ভর করেছে।
পাচার কারীরা কৌশলে নতুন রোড় হিসেবে বেছে নিয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সিমান্ত রোড় আর রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ফুলতলি, মৌলবির কাটা রোড়। এলেকার ডজেন খানেক পাচারকারী এইসব অবৈধ পাচার কাজে জড়িত বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। যারা ওই সব ব্যবসা করে রাতারাতি আংগুল ফলে কলা গাছ বনে গেছে।
সুত্র জানায়, সমপ্রতি মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা যুবক আর মিয়ানমার পলিশের মাধ্যমে ওই ইয়াবা বাংলাদেশের বিভিন্ন সিমান্তে প্রবেশ করে। আর বর্তমানে আইন শ্ংখলা বাহিনীর কঠোর কড়াকড়ির কারনে ওই সব ইয়াবা পাচার কারীরা নিরাপদ রোড় হিসেবে বেছে নিয়েছে ওই চাকঢালা আর ফুলতলি সিমান্ত সড়ক। এই সব ইয়াবা গডফাদাররা কৌশুলে স্তানীয় কতিপয় পাচারকারীদের ব্যবহার করে আসছে।
গোপন সুত্র জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা আর রামুর ফুলতলি মৌলবির কাটা সড়কের যাত্রী বাহী মোটর সাইকেল চালকরা মোটা অংকের ভাড়ার বিনিময়ে ওই সব ইয়াবা পাচার করে ঈদগড় বাইশারী রোড় দিয়ে জেলা শহর সহ দেশের অনাচে কানাচে ছড়িয়ে যায়।
এমন একজন মোটর সাইকেল মালিক জানান, সিমান্ত থেকে আসা নাম্বার বিহীন যে কোন মোটর সাইকেলের বেডকভার আর গাড়ির ব্যাটারী রাখার যায়গা তল্লাসি করলে মাল পাওয়া যাবে।
নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক ব্যক্তি জানান, ওই সব চোরা কারবারী গডফাদাররা বেশীর ভাগ এলেকার নামদারী ভালো আর বড় লোকের উঠতি বয়সী সন্তান এবং স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী ও বর্তমানে ওই কাজে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে বলে একাধিক সুত্র জানায়। এলকার সচেতন মহল এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসন সহ রেপিড একশেন ব্যাটালিয়নের হস্তক্ষেপ কামানা করেন।
এই ব্যাপারে কথা বলতে, গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ির আইসি কাজি আরিফ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমরা সার্বিক বিষয়ে নজরদারী করছি, প্রয়োজনে আরো সতর্ক অবস্তানে থাকবো।