এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(১৭ আগস্ট) :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের মুছারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শোক দিবস পালনে পতাকা উত্তোলনকালে বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিবাদ করতে গেলে শাররীকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ছায়েরা খানম মিনুকে (৩৬)।
আহত ওই শিক্ষিকা বিদ্যালয় লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আশরাফুল মান্নানের স্ত্রী। গুরুতর আহতবস্থায় তাকে সোমবার চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অবশ্য ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ১৫ আগষ্ট সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে।
চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষিকা ছায়েরা খানম মিনু বলেন, সরকারি নির্দেশনার আলোকে শনিবার বিদ্যালয়ের পক্ষথেকে র্ভাচুয়াল সিস্টেমে শোক দিবসের কর্মসুচির আয়োজন করা হয়। বাড়ির পাশে বিদ্যালয় হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তিনি এদিন সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে জাতীয় পতাকাটি উত্তোলন করছিলেন।
শিক্ষিকা ছায়েরা খানম বলেন, পতাকা উত্তোলন শেষে বাড়ি যাওয়ার মুর্হুতে ঘটনাস্থলে বিদ্যালয়ের বহিস্কৃত শিক্ষিকা সহ কয়েকজন সহযোগি নিয়ে উপস্থিত হয়ে উত্তোলনকৃত পতাকা নামিয়ে ফেলে। এসময় বিষয়টির প্রতিবাদ জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা তাকে (শিক্ষিকা ছায়রা খানম) শাররীকভাবে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।
ভিকটিম ওই শিক্ষিক আরও বলেন, পতাকা উত্তোলনে বাধাঁ ও হামলার ঘটনাটি তাৎক্ষনিক চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন।
কিন্তু সোমবার (১৭ আগস্ট) সকালের দিকে শাররীক অবস্থার অবনতি ও পা ফুলে গেলে পরিবার সদস্যদের সহযোগিতায় তিনি চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার। তিনি বলেন, শোক দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাঁধা দিয়ে বিদ্যালয়ের বহিস্কৃত শিক্ষিকা সহযোগিদের নিয়ে হামলার করেছে কর্মরত শিক্ষিকার উপর। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগেও অনেকবার মুছারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বহিস্কৃত শিক্ষিকা এবং তাঁর স্বামী বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ে নানা ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। তাদের কারণে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। তাদের হুমকি ধমকির মুখে শিক্ষকরা ওই বিদ্যালয়ে যেতে সাহস পাচ্ছেনা।
বিষয়টি প্রসঙ্গে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy