এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট ডুমখালী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বনভুমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে আমির হোসেন (৪৪) নামের এক ব্যক্তি নিহত হবার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ডুমখালী এলাকায় প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হন পূর্ব ডুমখালী গ্রামের মৃত কবির আহমেদের ছেলে আমির হোসেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানিয়েছে, নিহত আমির হোসেন একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে এসেছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, বন মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, আমির হোসেন হত্যাকাণ্ডের পর এলাকার জনগনের মাঝে ভীতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে ঘটনার পর থেকে নিহত আমির হোসেন পক্ষের অনুসারী লোকজন প্রতিদিনই এলাকার নিরীহ লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটতরাজ চালাচ্ছে। নিহতের ভাই আহমদ হোসনের নেতৃত্বে সহযোগিরা প্রকাশ্যে আসামিপক্ষের পাশাপাশি নিরীহ লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটে নিচ্ছে পালিত গরু ছাগল ও হাস-মুরগী। এতে আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসি।
সর্বশেষ মঙ্গলবার ২৫ মে বিকাল চারটার দিকে নিহত আমির হোসেনের সহযোগিরা হামলা চালিয়েছে স্থানীয় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পুর্ব ডুমখালী গ্রামের সৌরভ উদ্দিন বাবুর বাড়িতে। এসময় হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্তা বাবুর স্ত্রী রাশেদা বেগমকে বেদড়ক মারধরের পর জিন্মি করে বাড়ির একটি গাভী গরু, চারটি ছাগল, ৮টি কবুতর ও ১২ টি মুরগী লুটে নিয়ে গেছে।
লুন্ডিত এসব মালামালের অর্থমুল্য প্রায় ৪১ হাজার পাঁচশত টাকা দেখিয়ে গতকাল ২৬ মে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন আক্রান্ত পরিবারটির গৃহকর্ত্রী রাশেদা বেগম।
এজাহারে বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ১২জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন হেলাল উদ্দিন, নুরুচ্ছফা, নিহতের ভাই আহমদ হোসেন, ছৈয়দ করিম, জাকের হোসেন, আবদুর রশিদ, শহিদুল ইসলাম, কাদের, আজল খাঁ, ইসমাইল, মোর্শেদ আলম ও ছেনুয়ারা বেগম। সবার বাড়ি ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ডুমখালী এলাকায়।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন, এজাহারনামীয় এসব আসামিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও বন আইনেসহ অন্তত ১৫/১৬টি মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে নিহত আমির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা, তিনটি বন মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে থাকলেও সম্প্রতি জামিনে এসে আমির হোসেন সহযোগিদের নিয়ে পুরানো পেশায় সক্রিয় হয়। এরই মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও বনভুমি দখল ঘিরে আমির হোসেন প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধে জড়ান।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বাদির এজাহারটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থানার এসআই মুজিবুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। মামলার বাদি রাশেদা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Posted ১২:১৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Chy