কক্সবাংলা ডটকম :: বন্দর-কাস্টমসসহ ভৌগোলিক সুবিধা চট্টগ্রামকে করে তুলেছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম কেন্দ্র। গত কয়েক দশকে এখানে আবির্ভাব হয়েছে শতাধিক বড় শিল্প গ্রুপের। এর মধ্যে অনেকগুলোরই বিকাশ ঘটেছে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা পরিবারকে ঘিরে। এসব শিল্প গ্রুপের কোনো কোনোটির ব্যবসা এখন ক্রমেই বড় হচ্ছে। দক্ষ কর্মী বাহিনী ও ব্যবসার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান বিকাশের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। এর বিপরীত চিত্রও দেখা যায়।
ব্যবসায়িক অপচর্চার কারণে বা দক্ষ কর্মীনির্ভর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে না পারায় ব্যক্তি বা পরিবারকেন্দ্রিক অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই এখন ডুবতে বসেছে। কোনো কোনোটি এরই মধ্যে ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা ঋণখেলাপসহ নানা অভিযোগ মাথায় নিয়ে জেলও খেটেছেন। কেউ আবার কারাগার এড়াতে গিয়ে পলাতক আসামির জীবনযাপন করছেন।
চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সফলতার ধারাকে ধরে রেখেছে দেশী-বিদেশী অনেক ব্যবসায়ী পরিবার। ইরান থেকে আসা ইস্পাহানী পরিবার দেশভাগের সময় তাদের ব্যবসায়িক সদর দপ্তর কলকাতা থেকে স্থানান্তর করে আনে চট্টগ্রামে। দুই শতাব্দী ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া পরিবারটির মালিকানাধীন ইস্পাহানী গ্রুপ এখনো বিকাশের ধারায় রয়েছে। একইভাবে দিনে দিনে ব্যবসার ব্যাপ্তি বাড়ছে ভারতের গুজরাট থেকে আসা বোহরা সম্প্রদায়ের গড়ে তোলা বিএসআরএম গ্রুপেরও। এরই মধ্যে দেশের ইস্পাত খাতের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে বিএসআরএম।
এদিক থেকে পিছিয়ে নেই চট্টগ্রামের স্থানীয় উদ্যোক্তারাও। এখানকার যেসব বৃহৎ পুঁজির পরিবারকেন্দ্রিক ব্যবসা এখন ক্রমেই বড় হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে পিএইচপি ফ্যামিলি, কেডিএস গ্রুপ, আবুল খায়ের গ্রুপ, বিএসএম গ্রুপ, এ কে খান গ্রুপ, কেএসআরএম, মোস্তফা হাকিম গ্রুপ, ফিনলে গ্রুপ, টি কে গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
দক্ষ কর্মী বাহিনীর সম্মিলন ও ব্যবসায়িক সুযোগের যথোপযুক্ত ব্যবহার এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রগতির পথে টিকিয়ে রেখেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমেরআলী হুসেইন বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এগিয়ে থাকতে হলে ব্যবসা পরিচালনার পদ্ধতিও যুগোপযোগী হওয়া জরুরি। দক্ষ কর্মী ও করপোরেট সংস্কৃতি ভালো হলে যেকোনো সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। অন্যদিকে এর থেকে বিচ্যুতি ঘটলে ব্যবসার মন্দা বা সংকটপূর্ণ সময়ে শ্রমঘন ও বৃহৎ পুঁজির প্রতিষ্ঠানগুলোকে নানামুখী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।
তবে এর বিপরীত ছবিও দেখা যায়। চট্টগ্রামের গত কয়েক দশকের সবচেয়ে বেশি আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এসএ গ্রুপ। দেশের সরকারি-বেসরকারি অনেক ব্যাংকে কয়েক হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। ভোগ্যপণ্যসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে নেয়া প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ ফেরত দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রুপটির কর্ণধার শাহাবুদ্দিন আলম কারাগারে যাওয়ার পর গ্রুপটির ব্যবসা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকে। একসময় এসএ গ্রুপের করপোরেট অফিস ছিল আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার ফিনলে হাউজ ভবনের চতুর্থ তলায়। বর্তমানে সেটি কার্যত গুটিয়ে নেয়া হয়েছে। ভবনটি থেকে এসএ গ্রুপের নামফলকও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে সাত হাজার বর্গফুটের অফিসকে ছোট করে বানানো হয়েছে কয়েকশ বর্গফুটের লিয়াজোঁ অফিস। বর্তমানে গ্রুপটির মূল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে খুলশী এলাকায়। ভিন্ন নাম নিয়ে পণ্যের ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যবসায়িক পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরেক বনেদি শিল্প পরিবার মোস্তফা গ্রুপের পরিস্থিতিও অনেকটা একই ধরনের। ভোগ্যপণ্য ছাড়াও শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড, তৈরি পোশাক, চা শিল্পে বিনিয়োগ ছিল গ্রুপটির। পরবর্তী সময়ে গ্রুপটির কার্যক্রম খাতুনগঞ্জ থেকে সরিয়ে আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় নিজস্ব ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির রমরমা অবস্থায় ভাটা পড়ে গ্রুপটির প্রধান হেফাজুতুর রহমান জেলে যাওয়ার পর। একসময় তার ছোট ভাই জহির আহমেদ ব্যবসার হাল ধরলেও তিনিও দেশে নেই দীর্ঘদিন। হেফাজুতুর রহমান পরে কারাগার থেকে ছাড়া পেলেও ভঙ্গুর ব্যবসায় আর গতি ফেরাতে পারেননি। মোস্তফা গ্রুপের ব্যবসা অচল হয়ে পড়ার পেছনেও দক্ষ কর্মীনির্ভর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে না পারাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামের মতো জায়গায় বড় পুঁজি নিয়ে মাঠে নামা ব্যবসায়ী পরিবারগুলোর এমন বিপরীতমুখী পরিস্থিতির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের দুটি ধারা। এক পক্ষ তাদের নতুন প্রজন্মকে পড়াশোনা করিয়ে ব্যবসায়ে একটি যুগোপযোগী ব্যবসায়িক কাঠামো নিয়ে এসেছে। তারা ভোগ্যপণ্য ব্যবসা থেকে শিল্পে বিনিয়োগ করে খুবই ভালো করছে। আরেকটি পক্ষ সনাতনী চিন্তা থেকে এখনো বের হয়ে আসতে পারেনি। ফলে তাদের অনেকেই আগের মতোই ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও পরিবারকেন্দ্রিক ব্যবসায়িক পলিসি ধরে রেখেছে, যা তাদের ব্যবসায় পতনের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। একটি করপোরেট সংস্কৃতির বিকাশ করতে না পারলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায় টিকে থাকা আরো কঠিন হয়ে পড়বে।
সাম্প্রতিককালে নানাভাবে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে চট্টগ্রামের শিল্প পরিবার রাইজিং গ্রুপ। ঋণখেলাপের দায় ও রাজনৈতিক কারণে গ্রুপটির কর্ণধার আসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন কারাভোগ করছেন। এ কারণে এ শিল্প গ্রুপের চলমান ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরতরা। শিপ ব্রেকিং, ইস্পাত, অক্সিজেন উৎপাদন প্লান্ট, লবণ প্রক্রিয়াকরণের কারখানা থাকলেও গ্রুপটির ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ক্রমাগত নিম্নমুখী। আসলাম চৌধুরী কারাগারে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানগুলো চালাতেন তার স্ত্রী ও ভাই। কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্যের বিরুদ্ধেও মামলা আর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় অন্তরালে চলে গেছেন তারাও। এ অবস্থায় পুরো গ্রুপের ব্যবসাতেই ভাটা পড়েছে।
একসময় বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে কার্যালয় থাকলেও দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণের দায়ে থাকা প্রতিষ্ঠানটির এখন চট্টগ্রাম শহরে কোনো করপোরেট অফিসই নেই। গ্রুপটির কর্মীরাও বলছেন, আসলাম চৌধুরী কারাগারে থাকায় তাদের পক্ষে ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি ব্যবসা চালিয়ে যাওয়াটাই অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
এখানকার আরেক বনেদি শিল্প গ্রুপ মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্স (এমইবি)। একসময় চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্যসহ একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্যের নেতৃত্বে ছিল গ্রুপটি। কিন্তু একটি প্রতিযোগিতামূলক করপোরেট সংস্কৃতি তৈরি করতে না পারা, পারিবারিক ভাঙন, রাজনৈতিক চর্চা, ব্যাংকঋণের মামলায় পরিবারের শীর্ষ নেতৃত্বের টানাপড়েনের কারণে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারেনি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি। একসময় খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্য ছাড়াও একাধিক উৎপাদনমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলেও প্রায় এক দশক ধরে নাজুক পরিস্থিতি পার করছে গ্রুপটি। এক পর্যায়ে এমইবির প্রধান ব্যবসায়িক কার্যালয় খাতুনগঞ্জ থেকে সিডিএ এভিনিউতে সরিয়ে নেয়া হয়। বর্তমানে সেটি আরো ক্ষুদ্র পরিসরে জাকির হোসেন রোডে নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান কর্ণধাররা এমইবি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নামে ব্যবসায় নতুনত্ব এনে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার স্বার্থে শিল্প গ্রুপের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তোলা জরুরি বলে স্বীকার করে নিলেন এমইবি গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার শোয়েব রিয়াদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, পরিবারকেন্দ্রিক ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অনেক সময়েই বেগ পেতে হয়। আমি নতুনভাবে আমাদের পারিবারিক ব্যবসাকে আবার দাঁড় করানোর জন্য চেষ্টা করছি। একাধিক ব্যাংকের পাওনা পরিশোধেও অনেক দূর এগিয়েছি। ব্যবসাকে দাঁড় করাতে করপোরেট সংস্কৃতি গড়ে তোলার ব্যাপারেও সচেতন আছি।
ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ ও খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি বৃহৎ শিল্প গ্রুপের ব্যবসায় উত্থানপতন থাকতেই পারে। ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা বা ঋণের অর্থ যথাসময়ে ফেরত দিতে না পারার ঘটনাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বা পরিবার প্রধানের অনুপস্থিতিতে ব্যবসা সংকুচিত হয়ে যাওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক নয়। হাজার হাজার কোটি টাকার বার্ষিক টার্নওভারের একটি বৃহৎ শিল্প গ্রুপ যখন একজন বা গুটিকয়েক ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তখন ব্যবসার প্রাতিষ্ঠানিক রুগ্ণতা প্রকাশ পায়। একটি দক্ষ প্রশাসন ও কর্মীবাহিনী উদ্যোক্তা বা মালিকের অনুপস্থিতিতেও ব্যবসা সঠিক নিয়মে এগিয়ে নিতে পারে, যা চট্টগ্রামের অধিকাংশ শিল্প গ্রুপের মধ্যে নেই বলে মনে করছেন তারা।
ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ব্যবসায় লাভ-লোকসান থাকতেই পারে। একটি সুসংহত শিল্প গ্রুপের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দক্ষ মানবসম্পদ যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে।
চট্টগ্রামের অনেক প্রতিষ্ঠিত শিল্প গ্রুপ রয়েছে যেগুলো অতীতে সংকটময় সময় পার করলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালের বিভিন্ন খেলাপি গ্রাহক প্রতিষ্ঠানকে করপোরেট সংস্কৃতি ও দক্ষ জনবলের অভাবে ভুগতে দেখা যাচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।
ভোজ্যতেলের একসময়ের শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নূরজাহান গ্রুপ, ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিদ্দিক ট্রেডার্স, আম্বিয়া গ্রুপ, ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল, ক্লিউস্টোন গ্রুপ, বাদশা গ্রুপ, মেসার্স আলম অ্যান্ড কোংসহ আরো ডজনখানেক শিল্প গ্রুপের ব্যবসা এখন কোনোমতে টিকে রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শীর্ষ উদ্যোক্তা খেলাপি ঋণের দায়ে কারাগারে বা কারাগার থেকে বেরিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর ঘটনাও ঘটেছে। নানা মামলার কারণে স্বজনরাও ব্যবসায়ে সময় দিতে পারছেন না। কয়েকশ থেকে হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যাংকঋণ নেয়া এসব প্রতিষ্ঠানের কারোরই এখন প্রকৃত অর্থে নিজস্ব অফিস নেই।
প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিনির্ধারণ, ব্র্যান্ডিং, ডেভেলপমেন্ট বা উদ্ভাবনী পর্যায়ে রাখা হয়েছে উদ্যোক্তার পরিবারের সদস্য, নিকটাত্মীয়, বন্ধু বা নিজ এলাকার মানুষকে। কখনো কখনো রাজনৈতিক কর্মী বা বিশেষ বিবেচনায় তদবিরের মাধ্যমে আসা ব্যক্তিদেরও সুযোগ করে দিতে হয়েছে। ব্যবসা পরিচালনায় সীমিত জনবল দিয়ে ছোট পরিসরে কোনো রকমে অফিস কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফলে দক্ষ জনবলহীন এসব ভারী শিল্পসংশ্লিষ্ট গ্রুপ এখন ঋণের দায় মাথায় নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
Posted ৩:৫৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Chy