কক্সবাংলা ডটকম(৮ নভেম্বর) :: ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ার আগে মোরিহনহোর অঙ্গভঙ্গিতে রীতিমতো রেগে গেল জুভেন্টাস গ্যালারি থেকে ফুটবলার সকলেই। ৯০ মিনিটের মাথায় সেম সাইড গোলে জুবেন্টাসের বিরুদ্ধে জয় তুলে নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বুধবার সেই ম্যাচ শেষেই মোরিনহোর বডি ল্যাঙ্গুয়েজের ভিডিও ইতিমধ্যেই ছেয়ে গিয়েছে ফুটবল বিশ্বে।
বুধবার চ্যাম্পি।ন্স লিগের ম্যাচে ১-১ গোলেই চলছিল জুভেন্টাস- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচ। শেষ মুহূর্তের সেম সাইড গোলে জুভেন্টাস হেরে যায়। জুভেন্টাসকে সমতায় ফিরিয়েছিল ক্রিস্টিয়ানোর রোনাল্ডোর অসাধারণ একটি ভলি। কিন্তু তা আর পয়েন্ট পেতে দিল না জুভেন্টাসকে। আর তার পরই মোরিনহো যা করলেন তা নিয়ে দু’ভাগ ফুটবল বিশ্ব।
পরে বিটি স্পোর্টসকে মোরিনহো বলেন, ‘‘সুন্দর এই ইতালিয়ান শহরে ওরা ৯০ মিনিট ধরে আমাকে অপমান করে গিয়েছে। আমি জানি ইন্টারফ্যানরা তাতে খুশি হবে। কিন্তু আমি জুভেন্টাসকে সম্মান করি। তাদের প্লেয়ার, ম্যনেজার এবং ওদের যোগ্যতাকে।”
যদিও জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলানো আলেগ্রি এই বিতর্কে ঢুকতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকের নিজস্ব অভিব্যক্তি আছে এবং তারা কী ভাবে সেলব্রেট করবে।আমি বলতে পারব না তিনি ঠিক কী ভুল।”
তবে জুভেন্টাসকে হারিয়ে শেষ ১৬র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়ে গ্যালারির অপমানকর উক্তির যোগ্য জবাব দিয়েছিল মোরিনহোর ছেলেরা। যেভাবে তাঁর ছেলেরা জয় ছিনি।এ এনেছেন তাতে খুশি মোরিনহো।
জুভেন্টাসের মাঠে মরিনহোর তিক্ত স্মৃতি কম নেই। ইন্টার মিলানের কোচ থাকতে প্রায় নিয়মিতই ‘ওল্ড লেডি’ সমর্থকদের দুয়ো শুনতে হয়েছে পর্তুগিজ এই কোচকে। ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম ইংলিশ দল হিসেবে জুভেন্টাসের মাঠে জয়ের স্বাদটা তাই প্রতিপক্ষ সমর্থকদের প্রতি টিটকিরি মেরেই উদ্যাপন করেছেন ইউনাইটেডের এই কোচ। মরিনহোর এই আচরণ কিন্তু ভালোই বিতর্ক ছড়িয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে পরে মরিনহো বলেছেন, তিনি নাকি ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিট ধরেই অপমানিত হয়েছেন! মানে, ম্যাচের গোটা সময়ই জুভেন্টাস সমর্থকেরা তাঁকে দুয়ো দিয়েছে। তার জবাবে জয়ের পর হাতটা কানের পাশে রেখে জুভেন্টাস সমর্থকদের কথা শোনার ভান করেছেন মাত্র।
বোনুচ্চির সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন মরিনহো। ছবি: এএফপি
এ প্রসঙ্গে ইউনাইটেড কোচ স্কাই ইতালিয়াকে বলেন, ‘৯০ মিনিট ধরেই অপমানিত হয়েছি। এখানে নিজের কাজটা করতে এসেছিলাম। আর কিছু না। কাউকে তো আঘাত দিইনি। শুধু ওদের আওয়াজ শোনার চেষ্টা করেছি। হয়তো এটা করা উচিত হয়নি। মাথা ঠান্ডা রাখা উচিত ছিল। কিন্তু আমার পরিবার অপমানিত হয়েছে, ইন্টার-পরিবারও। তাই এমন আচরণ করেছি।’
মৌসুমে এই প্রথম হারের মুখ দেখল জুভেন্টাস। ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষে দলটি। তাঁদের থেকে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় ইউনাইটেড। এই গ্রুপের আরেক দল ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে পরের ম্যাচে জিতলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করবে মরিনহোর দল। সে ক্ষেত্রে শর্ত হলো, জুভেন্টাসের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়াকে হারতে হবে।
Jose Mourinho has got the Juventus fans and players rattled at full time! 😬🤬
He's enjoyed that one A LOT! 🤫 pic.twitter.com/Gcmuyd3sDo
— Football on BT Sport (@btsportfootball) November 7, 2018
Posted ১২:৫২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy