কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৯ ডিসেম্বর) :: অপেক্ষার পালা প্রায় শেষ পর্যায়ে। রাত পোহালেই র্দীঘ প্রতিক্ষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকেই জেলার নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট দেবেন কক্সবাজারবাসী।এই নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মাঝে যে আগ্রহ, আতঙ্ক রয়েছে তা শেষ হতে চলেছে ৩০ ডিসেম্বরই। নতুন সূর্য উদয় এর সাথে শুরু হতে চলেছে নতুন এক অধ্যায়ের।
নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,কক্সবাজার জেলার ৪টি পৌরসভা ও ৭১টি ইউনিয়নে এবার ভোটকেন্দ্র ৫১৩টি। মোট ভোটার ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ২০৪ জন। এর মধ্যে ৭ লাখ ৭ হাজার ৮৩১ জন পুরুষ এবং ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৩ জন নারী। ভোট কক্ষের সংখ্যা ২ হাজার ৭৩৮টি।
কক্সবাজারে এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে। ৪টি আসনে ১২টি রাজনৈতিক দলের ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ৪জন,বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের ৪ জন, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ৩জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রয়েছে ৪ ও অন্যান্য দলের ১১জন প্রার্থী রয়েছেন।
শনিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় রিটানিং কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন জানান,জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের ৪টি পৌরসভা ও ৭১টি ইউনিয়নের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ২০৪ জন ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেন্দ্র নিরাপত্তায় ম্যাজিস্ট্রেট , সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন।
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে কক্সবাজারের ৪ টি আসন থাকবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। এ জন্য জেলায় ৩০ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৬ প্লাটুন নৌবাহিনী, ৪৮ প্লাটুন বিজিবি, ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশ ও ২ কোম্পানি র্যাব।
তবে র্যাব এর এই ২ কোম্পানি কক্সবাজার জেলা ছাড়াও চট্টগ্রামের দুইটি আসনের দায়িত্বে থাকবেন। আনাসার ও গ্রাম পুলিশ শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে।
জেলা রিটার্নিং সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের ৪ আসনের জন্য ৮৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। এর মধ্যে ৩২ জন কক্সবাজারে আগে থেকে কর্মরত ছিলেন। বাকী ৫৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মন্ত্রণালয় থেকে আনা হয়েছে।
চকরিয়া পেকুয়া আসনে সেনাবাহিনী ১০ প্লাটুন, বিজিবি ১৩ প্লাটুন ও ৩ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিরাপত্তার দািয়ত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন সেনবাহিনী ৫ প্লাটুন, নৌবাহিনী ৩ প্লাটুন, বিজিবি ১১ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরো ২ প্লাটুন, পুলিশের ২ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স।
কক্সবাজার সদর রামু আসনে সেনাবাহিনী ১০ প্লাটুন, বিজিবি ১০ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরো ৪ প্লাটুন, পুলিশের ৩ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
উখিয়া টেকনাফ আসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন সেনাবাহিনী ৮ প্লাটুন , নৌবাহিনী ৩ প্লাটুন, বিজিবি ৬ প্লাটুন, রিজার্ভ থাকবে আরো ১ প্লাটুন,পুলিশের ২ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ।
ভোটগ্রহণ কার্যক্রমকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। শনিবার ভোটের সামগ্রী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পুলিশ পাহারায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন কেন্দ্রের মনোনীত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা।
Posted ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Chy