কক্সবাংলা ডটকম :: বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গড় আয়ু জাপানের। এখানকার মানুষজন বহুদিন বাঁচেন। যেখানে ভারতের নম্বর অনেক পড়ে। এতদিন বাঁচার পিছনে রহস্যটা ঠিক কী?
গবেষণা বলছে, ফিট থাকার সঙ্গে আয়ু বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। ফিট থাকলে শরীরে কোনও রোগ হয় না। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে আয়ু বাড়ে।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে ওবেসিটির হার ৩৫ শতাংশ, সেখানে জাপানে ওবেসিটির সংখ্যা মাত্র তিন শতাংশ। কীভাবে?
জাপানের লোকজন রেডি টু ইট খাবার খান না বললেই চলে। এই সব খাবারের সহজলভ্যতাও নেই জাপানে তেমন। এই দেশের লোকজন সাধারণত বাড়ির তৈরি সাধারণ খাবার খান। মাছ, মাংস, সবজি, ফল যাই খায়, বাড়িতে রান্না করেন।
সেখানকার পুষ্টিবিদদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, জাপানের লোকজনের ডায়েটে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড খেয়ে থাকেন। যার ফলে হার্ট ভাল থাকে। আয়ুও বাড়ে।
জাপানের প্রায় সকলে ওয়ার্কআউট-সহ একাধিক ব্যায়াম করে থাকেন। হাঁটা, সাইকেল চালানো, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত, এই সবকিছুর ফলে শরীর ভাল থাকে।
এখানকার লোকজন প্রসেসড ফুডও খান না। যেকোনও খাবার খুব সাধারণভাবে গোটা অবস্থাতে বা হালকা রান্না করে খেয়ে থাকেন।
এখানকার লোকজন যেভাবে বসেন বা দাঁড়ান অর্থাৎ তাঁদের পশ্চার শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। এটা বহু যুগ ধরেই চলে আসছে।
জাপানের লোকজন সাধারণত নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবারই খেয়ে থাকেন। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়ার প্রবণতা নেই। সাধারণত একটি নিয়ম তাঁরা ফলো করেন, বলা হয় হারা হাচি বু। এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ পেট ভরা পর্যন্ত খাবার খাওয়া হয়।
আর ঠিক এই কারণেই রোগভোগ থেকে দূরে থাকেন জাপানের লোকজন। গড় আয়ুও তাই বেশি।
Posted ৫:১৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta