কক্সবাংলা ডটকম(৬ ডিসেম্বর) :: কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। এই চারজনই ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার ছাত্র। এদের মধ্যে দুজন বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙ্গার কথা স্বীকার করেছে।
এদের একজনের নাম আবু বকর অন্য জনের নাম নাহিদ। আটক চারজনই শিবির কর্মী। এই আটকের সূত্র ধরে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দেশব্যাপী একটি অস্থিরতা সৃষ্টির অংশ হিসেবেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
শুধু কুষ্টিয়া নয়, সারাদেশে ভাস্কর্যের উপর ঝটিকা আক্রমণ এবং ভাঙচুরের পরিকল্পনা করেছে স্বাধীনতা বিরোধি জামাত-শিবির। আর এই পরিকল্পনায় প্রধান টার্গেট হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা ভাস্কর্যসমূহ। স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী মনে করছে, যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য ঝটিকা আক্রমণ করে ক্ষতিগ্রস্থ করা যায় তাহলে ভাস্কর্য বিরোধীতায় এক বড় ধরনের সাফল্য আসবে।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্র স্বাধীনতা বিরোধীদের এই গোপন পরিকল্পনার তথ্য হাতে পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরদারি এবং উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, জামাত-শিবির ভাস্কর্য ইস্যুতে সরকার এবং ইসলামপছন রাজনৈতিক দলগুলোকে মুখোমুখি দাড় করাতে চাইছে। আওয়ামী লীগ এবং ইসলামী দলগুলো পাল্টা পাল্টি অবস্থান নিলে, জামাত এবং বিএনপি সুযোগ পাবে। এরকম মুখোমুখি অবস্থানে সরকার দূর্বল হয়ে যাবে।
সর্বোপরি, এর ফলে সরকার জামাতের দিকে নজর দেয়ার সুযোগ কম পাবে। আর একারণেই, জামাত-শিবিরের উদ্যোগে সারাদেশে ভাস্কর্য গুলোকে টার্গেট করা হয়েছে। আচমকা হামলার মাধ্যমে তারা আতংক ছড়াতে চায় এবং সরকারকে ব্যতিব্যস্ত রাখতে চায়।
তাছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যগুলো জামাত-শিবিরের দীর্ঘদিনের টার্গেট। এর আগেও একবার জামাত-শিবির ‘অপারাজেয় বাংলা’কে টার্গেট করেছিল। কিন্তু জামাত-শিবির কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যগুলোতে আচড় দেয়ার সাহস পায়নি।
তবে এখন যেহেতু ক্যাম্পাস বন্ধ এবং ছাত্র অধিকার পরিষদ শিবিরের শক্ত অবস্থান রয়েছে, তাই তারা এই সময়কে টার্গেট করেছে। শিবির মনে করছে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন একটি ভাস্কর্যকে টার্গেট করা যায়, তাহলে দেশে একটি উত্তপ্ত পরস্থিতি সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
Posted ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy