হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(১৬ অক্টোবর) :: কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্টে আবারো রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ইঞ্জিন নৌকা ডুবির ঘটনায় ১১জন নারী ও শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ২১জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে।
জানা যায়,১৬অক্টোবর ভোরের দিকে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের জন্য আসা অতিরিক্ত রোহিঙ্গা বোঝাই (৩৫/৪০জন) একটি ট্রলার টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্টের বঙ্গোপসাগর উপকূলের পশ্চিমপাড়াস্থ ভাঙ্গা পয়েন্টে দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে ডুবে যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয় জেলে,জনসাধারণ ও কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। ঘটনাস্থল হতে ২১জন নারী-পুরুষ ও শিশুদের জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া ৫শিশু ও ৬নারীসহ ১১জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও অবশিষ্টরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মৃতের এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। উদ্ধারকৃতদের বিকাল ৩টারদিকে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শাহপরীরদ্বীপ কোস্টগার্ড ষ্টেশন কমান্ডার লেঃ জাফর ইমাম শরীফ জানান,মিয়ানমার হতে অতিরিক্ত রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার বঙ্গোপসাগর হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টাকালে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার নুরুল আমিন জানান,ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটার সময় রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা আসতে দেখেন। কিছুক্ষণ পর উক্ত রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির খবর পেয়ে তিনিসহ লোকজন গিয়ে ৭জনকে জীবিত উদ্ধার করেন। এরপরও উদ্ধার অভিযান চলছিল। অপর কিছু লোক সাতাঁর কেটে উপকূলে আসতে দেখা গেছে।
এদিকে রোহিঙ্গা বোঝাই দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠার কারণে এই অপমৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
Posted ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy