হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(২০ অক্টোবর) :: টেকনাফের হ্নীলায় সাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের প্রভাবে প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে আমন মৌসুমের ধানের আংশিক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
জানা যায়,উপজেলার ২নং হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন চলতি আমন মৌসুমে মরিচ্যাঘোনা,আলী আকবরপাড়া,রোজারঘোনা,মৌলভীবাজার,বৃহত্তর পানখালী, লেচুয়াপ্রাং, উলুচামরী,হোয়াব্রাং,বৃহত্তর সিকদার পাড়া,ফুলের ডেইল,নাটমোরা পাড়া, চৌধুরীপাড়া, রঙ্গিখালী,আলীখালী,লেদা,মোচনী ও জাদিমোরা এলাকায় প্রায় ১হাজার হেক্টর আমনসহ চাষাবাদকৃত বিভিন্ন প্রজাতির ধানের খুব ভাল ফলন হয়েছে। এমন কি লবণ মাঠেও চোখ জুড়ানোর ধানের ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছিল।
কিন্তু গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা এবং রাতের ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে কিছু কিছু এলাকার ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মাটিতে মিশে গেছে। এতে আনুমানিক চাষের এক দশমাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করা হচ্ছে।
ভূক্তভোগী পানখালীর কৃষক খলিল আহমদ বলেন,চাষাবাদকৃত ২৫/৩০কানি জমির মধ্যে প্রায় ৫কানি জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাশ্ববর্তী কৃষক আইয়ুব খাঁনেরও ৩কানি জমির চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
উলুচামরী এলাকার কৃষক আব্দুস সালাম বঙ্গ বলেন,গতকাল সন্ধ্যা ও রাতের বাতাসে ১২কানি চাষের মধ্যে ৩কানি জমির চাষ ক্ষতি হয়েছে। ফুলের ডেইলের কৃষক দুদু মিয়া ও আব্দুর রহিম ড্রাইভার তাদের চাষাবাদকৃত ধানের চাষের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
রঙ্গিখালীর মোহাম্মদ হোছাইন ১৮কানির মধ্যে ৫কানি,আমির হোছনের ১০কানির মধ্যে ৩কানি,রশিদ আহমদের ১০কানির মধ্যে ৪কানি,কবির আহমদ ৪কানির মধ্যে ২কানি ক্ষতিগ্রস্থসহ আরো অনেক কৃষকদের ধান চাষের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
এই ব্যাপারে হ্নীলা ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ জালাল উদ্দিন বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় লবণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে এই বারের আমন মৌসুমের ধান চাষাবাদে ভাল ফলন হয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
Posted ৯:৩৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy