হেলাল উদ্দিন,টেকনাফ :: সারাদেশে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় মঙ্গলবার ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন টেকনাফসহ সারাদেশের সাগর ও নদ-নদীতে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুত ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এদিকে টেকনাফে ৭ হাজার ৮শত ৬০ জন জেলে তারা আজ থেকে বেকার হয়ে পড়েছে।
টেকনাফ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, মা ইলিশ রক্ষায় সাগর ও নাফ নদীর তীরবর্তী এলাকায় চেয়ারম্যান মেম্বারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই বিষয়ে আন্তরিক সহযোগিতা করবেন। আর জেলেদের প্রতি আহ্বান, এই নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ রক্ষা করলে জেলেরাই বেশি নদীতে ইলিশ মাছ ধরতে পারবে। এই মাছ জেলেদেরই সম্পদ।
টেকনাফ উপজেলা উত্তর সীমানা বাহার ছড়া ইউনিয়নের মনখালী হয়ে দক্ষিণের শাহপরীর দ্বীপ হইতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কেরুন তলীর খাল পর্যন্ত প্রায় শত কিলোমিটার সাগর ও নদী উপকূলীয় এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোন জেলে নদীতে নামতে পারবে না। প্রতিবছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়।
এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্যকারীকে মৎস্য আইনে সাজা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতির টেকনাফ উপজেলার সভাপতি আব্দুস ছালাম বলেন, এদিকে জেলেরা তাদের জাল নৌকা ডাঙ্গায় তুলে রাখতে শুরু করেছে। তবে কষ্ট হলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে জেলেরা। যদিও জেলেদের দাবি তারা কখনো সরকারি অভিযানের সময় সাগর ও নদীতে নামেন না।
এ সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে চাল সহায়তা পায় জেলেরা। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় জেলেদের দাবি এ সহযোগিতা যেন বাড়ানো হয়।
Posted ১:১৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy