বিশেষ প্রতিবেদক :: টেকনাফে হ্নীলায় দুইদল সন্ত্রাসী বাহিনী মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোহাম্মদ তৈয়ব (৩৫) নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালীর দুধু মিয়ার ছেলে।
সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে হ্নীলার রঙ্গিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসির দায়িত্বে থাকা (তদন্ত ) কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এবিএমএস দোহা।
পুলিশ দাবি, হ্নীলার রঙ্গিখালীর আবুল আলম ও গিয়াস উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পূর্বশত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় সময় গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ দুটি গ্রুপের প্রত্যেক সদস্য নামে ৬ -১২ টি করে মামলা রয়েছে ।
স্থানীয়দের কাছে এই দুটি বাহিনীর সদস্যদের ডাকাত নামে পরিচিত। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাতায় তারা ডাকাত নামে তালিকাভুক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় হ্নীলার রঙ্গিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আবুল আলমের দলের সদস্য মোহাম্মদ তৈয়ব একটি মুদির দোকানে চেয়ারের ওপর বসা ছিলেন।
ওই সময় হঠাৎ করে গিয়াস উদ্দিনের দলের সদস্যরা একটি টমটমে করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিজানুর রহমান ওরফে বাগাচ্ছার নেতৃত্বে দোকানের সামনে এসে কোনো কথা ছাড়াই তৈয়ুবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান।খবর পেয়ে আবুল আলমের দলের অপরাপর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
ঘটনার পরপর পুলিশ,র্যাব ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। তবে নিহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।
স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, আবুল আলম ও গিয়াস উদ্দিন এ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্যবিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রত্যেকের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এই দুটি গ্রুপকে স্থানীয় লোকজন সন্ত্রাসী/ডাকাত বাহিনী নামে এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত।
জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা (তদন্ত ) কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এবিএমএস দোহা বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Posted ৮:৪০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Chy